করোনায় মৃত মন্ত্রী, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর! ডিলিট করলেই দায় কী শেষ?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার হারও। এবার করোনা আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।

হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মন্ত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে যা ভাইরালও হয়ে যায়। তবে এখানেই বিষয়টি থেমে থাকেনি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন বার্তা পাঠান। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে জারি করা হয় বিবৃতিও।

এমন খবরে মুহুর্তেই উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মন্টুরাম পাখিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শারীরিক অবস্থার আগের থেকে উন্নতিও হয়েছে। মারাত্মক একটি ভুল হয়ে গেছে বুঝতে পেরেই বিবৃতি তুলে নেয় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর।

প্রশ্ন উঠছে এখানেই। কেন যাচাই না করে এমন একটি বিবৃতি প্রকাশ করল সংশ্লিষ্ট দফতর? কেনই বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তড়িঘড়ি এমন শোকবার্তা প্রেরণ করা হল? ডিলিট করলেই কী সব দায় শেষ?

বিরোধীদের প্রশ্ন, মন্টুরাম পাখিরা রাজ্যের শুধু মন্ত্রীই নন, তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও। তাহলে তাঁর ক্ষেত্রেই যদি সঠিক তথ্য সরকার প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে এখানেও, তাহলে বিরোধীদের তোলা তথ্য বিভ্রাটের অভিযোগকেই কী মান্যতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

তবে এদিনের এই ভুয়ো খবরের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি নবান্ন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজেও এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ধরণের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে ফের একবার সরকারের ব্যর্থতাকে নির্দেশ করল তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। তবে এই ঘটনায় সরকারের উপর থেকে আমজনতার আস্থা কমবে বলেই এদিন অভিমত প্রকাশ করেন তাঁরা।

সম্পর্কিত পোস্ট