ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিল রসায়ন, শোভনের প্রাণনাশের আশঙ্কা ! সরব রত্না-বৈশাখী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  জামাইষষ্ঠীর দিন থেকেই রত্না চট্টোপাধ্যায়-শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের রসায়ন নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। ফেসবুকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম জুড়ে যাওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায় সরাসরি নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সমস্ত কিছুর মালিকানা দিয়ে দেন বৈশাখী দেবীকে।

তারপরেই গোলপার্কের যে ফ্ল্যাটে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ পাঠান রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দাদা। পাল্টা বেহালার যে বাড়িতে রত্না চট্টোপাধ্যায় থাকেন সেই বাড়ি নিজের বলে দাবি করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

মোটামুটি এত দূর পর্যন্ত সকলেরই জানা। তবে সম্পর্কের এই রসায়ন এগিয়ে গেল আরও এক ধাপ। “ল্যাম্পপোস্ট বেঁধে আমাকে ও শোভনকে পেটানোর হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।” এমনই বেনজির অভিযোগ করলেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। লালবাজারে গিয়ে নগরপালকে লিখিতভাবে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অভিযোগপত্রে লিখেছেন, “সম্প্রতি একটি ডিজিটাল মাধ্যমে রত্না চট্টোপাধ্যায় আমার স্বামীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানো হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। মাননীয়া বিধায়কের প্রভাব প্রতিপত্তি আছে। তাই সাধারন মানুষ হিসেবে আমি আতঙ্কিত। আমাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন।”

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ প্রথম হুমকি দেওয়া হয়। সেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি বলে জানান।

রবিবার পর্যন্ত নাগাড়ে চলবে বৃষ্টি, অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা আবহাওয়া দফতরের

একইসঙ্গে তিনি জানান, “সেদিন আমাদের গাড়িতে হামলা হয়েছিল গুরুতরভাবে। আহত হয়েছিলাম আমি। এর পেছনে সরাসরি রত্না চট্টোপাধ্যায় জড়িত।” এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নগরপালকে লেখা চিঠিতে জানান, নিরাপত্তার দাবি তিনি সেদিনও জানিয়েছিলেন। এখনো পর্যন্ত তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি।

বিষয়টিকে এখানেই থেমে গিয়েছে তা কিন্তু নয়। পাল্টা রত্না চট্টোপাধ্যায় সরব হয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা নিয়ে সরাসরি তিনি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। “সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মেরে ফেলা হতে পারে। স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে সমস্ত প্রশাসকদের দ্বারস্থ হবেন তিনি।” এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।

যদিও এই আশঙ্কা অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে এই মূহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শোভন-বৈশাখী-রত্না তরজা নতুন মাত্রা পেল।

সম্পর্কিত পোস্ট