আইপ্যাকের দৌলতে ভোটের মুখে নতুন করে ঘনিষ্ঠদের চিনলেন মমতা, মত বিশ্লেষকদের
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্বাচনে নির্ঘণ্ট। এবারে টিকিট পাননি মমতার টিকিট পাননি মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা একাধিক নেতৃত্ব। বাদ পড়েছেন সোনালী গুহের মতো দুর্দিনের সাথীরাও।
ক্ষোভ বিক্ষোভে জেরবার তৃণমূলের অন্দরের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। টিকিট না পেয়ে বিদায়ী ৪ বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক পালাবদলের এই পরিস্থিতিতে অবাক রাজ্যের মানুষ।
কোথাও গিয়ে যেন হারাতে বসেছে রাজনীতির আক্ষরিক অর্থটাই। শুধুমাত্র টিকিট না পেয়ে অভিমান করেই বিজেপিতে চলে গিয়েছেন বলে তাঁরা নাম লিখিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলে।
সেই অভিমানী বিধায়কদের তালিকায় রয়েছেন ৮০র ঊর্ধ্ব বিধায়করা। রয়েছেন প্রায় ৯০বছরের কাছাকাছি সিঙ্গুরের মাষ্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাদের তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে তারা অপমানিত হলে রাজনীতির পরিসর থেকে নির্বাসন নিয়ে নিলেই সম্মান টা বোধহয় বজায় থাকত। কারণ তাদের রাজনীতির ময়দানে নতুন করে প্রমাণ করার কিচ্ছু নেই। কি শিখবে নতুন প্রজন্ম যারা রাজনীতির ময়দানে আসছেন?
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, আইপ্যাক ও প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল নেতৃত্বের মোহভঙ্গের অন্যতম কারণ। তবে এই আইপ্যক কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে যারা একদা ঘোরাফেরা করতেন তারা কতটা ক্ষমতালোভী। হয়ত আইপ্যাকের ভূমিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাড়তি মাইলেজ দেবে।
তবে ২১এর নির্বাচন কি হবে এখনই বলা মুশকিল। একদিকে আত্মপ্রত্যয়ী মমতা। অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোরের বিজেপিকে দেওয়া চ্যালেঞ্জ।
তবে এবারের নির্বাচন সম্পর্কে এখনই প্রেডিকশন করা কঠিন বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ যেকোনো মুহূর্তে বদলাতে পারে রাজনীতির গঙ্গায় প্রবাহমান জলের ধারা। শেষপাতে আইপ্যকের বাজিমাত,am নাকি বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের জয়জয়কার ? চোখ থাকবে ২ মে।