জনসেবায় শীর্ষে, ভোটবাক্সে ফের ধূলিসাৎ বামেরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের তিনটি উপনির্বাচন কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। কিন্তু তিন কেন্দ্রেই প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যায় মুষড়ে পড়েছেন বাম সমর্থকরা৷ তিনটি কেন্দ্রেই পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।

২১ এর নির্বাচনে বামেদের নেতৃত্বে সংযুক্ত মোর্চার জোট হয়েছিল। জোটের সঙ্গি ছিলেন কংগ্রেস এবং আইএসএফ। সারা রাজ্যে একটি আসন পায় সংযুক্ত মোর্চা৷ তাও নতুন দল আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড় থেকে বিধায়ক হন। এবার উপনির্বাচনের ঘন্টা বাজতেই ভেঙে গেল সংযুক্ত মোর্চা। একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত বাম কংগ্রেসের।

ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিলেও সামশেরগঞ্জ আসনে ক্ষীণ আশা জেগে ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু সেই প্রদীপও নিভে গেল রবিবার৷ যখন তিনটি আসনে ব্যাপক জয়লাভ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আবার ভোট শতাংশের নিরিখে কংগ্রেস কিছুটা এগিয়ে থাকলেও একেবারে ধরাশায়ী হয়েছে বাম প্রার্থীরা।

রাজনৈতিক মহলের মতে, সারা রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে হাওয়া বইতে শুরু করেছে তাতেই বিরোধিরা পরাজিত হয়েছেন। এমনকি আগের থেকে ভবানীপুর আসনে মার্জিন বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি তৃণমূলের অনেকটা ভোট এসেছে বাম এবং বিজেপির ঝুলি থেকেও। সেখানেই পিছিয়ে পড়তে হয়েছে বামেদের৷

২০১১ তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাম দূর্গের পতন হতে শুরু করে৷ ২০১৬ সালে বামেদের কামব্যাকের আশা ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের মাশুল গুনতে হয়েছিল তাঁদেরকে। ২১ এর নির্বাচনে আশা না থাকলেও বিধানসভায় নিজেদের অস্তিত্বের শেষরক্ষা টুকু করতে ব্যর্থ হলেন আলিমুদ্দিনের নেতারা৷

সম্পর্কিত পোস্ট