বিক্ষিপ্ত অশান্তির মাঝেই চলছে চার পুরনিগমের ভো
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট। নির্বাচন কমিশনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী সকাল সাতটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সব জায়গা।
দক্ষিণবঙ্গের তিন পুরনিগমের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের একমাত্র পুরনিগম শিলিগুড়ির দিকে তাকিয়ে আছে সকলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ৪৭ ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি পুরসভায় এবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। কেউ কাউকে এক চুল জমি ছাড়তে রাজি নয়। এখানে একই ওয়ার্ডের প্রার্থী না হয়েও গুরু-শিষ্যের লড়াই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।
বামফ্রন্টের মুখ অশোক ভট্টাচার্য হলে বিজেপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর ভাব শিষ্য তথা শিলিগুড়ির বিধায়ককে শঙ্কর ঘোষ। এদিকে তৃণমূলের নেতৃত্তের ব্যাটন আছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাতে।
সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ড সংখ্যা আসানসোলে। ১০৬ ওয়ার্ডের আসানসোল ভৌগোলিকভাবে কলকাতা পুরসভার থেকেও বড়। সেখানে এবার মুল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। প্রার্থী তালিকা নিয়ে দুই শিবিরেই বিক্ষোভ আছে। নির্দলের কাঁটা দুই প্রধান শিবিরকেই ভোগাতে পারে।
অপরদিকে বিধানসভা নির্বাচনের হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাড়াতে মরিয়া বামেরা। আসানসোলের প্রতিটি বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
৩৩ ওয়ার্ডের চন্দননগরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যুতে ৩২ টি ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে। এই ছোট্ট পুরনিগমেও লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। এখানে শহরে ঢোকার প্রতিটি পয়েন্টে নাকা চেকিংয়ের পাশাপাশি জলপথে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
কলকাতার প্রতিবেশী বিধাননগরে ৪১ টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হচ্ছে। এখানে শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট মুখ প্রার্থী হয়েছেন। তবে পুরনো সল্টলেক পুরসভা এলাকায় বিজেপির সমর্থন যথেষ্ট ভাল থাকায় লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বিধাননগর পুরভোটে বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংকে। তবে বিধাননগরে বামেরাও ভালো লড়াই দিতে পারে বলে ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান।
এই পুরভোট প্রথমে হওয়ার কথা ছিল ২২ জানুয়ারি। কিন্তু ওমিক্রনের ধাক্কায় হাইকোর্টের নির্দেশে তিন সপ্তাহ নির্বাচন পিছিয়ে যায়। এই চার পুরনিগমের ভোটের ফল জানা যাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার।