#BGM: পুরসভা নির্বাচনে মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখেই ভোট দেবেঃ রাসবিহারী হালদার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার নেতাজী ইন্ডোর থেকে “বাংলার গর্ব মমতা” নামে মেগা ইভেন্টের সুচনা হল। বিজেপিকে পর্যদুস্ত করতে এবারে তৃণমূলের দায়িত্বভার বর্তেছে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের ওপর।
“দিদিকে বলো” কর্মসুচী যখন গোটা বাংলা জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তখনই পুরসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই তৃণমূলের নতুন ইভেন্ট “বাংলার গর্ব মমতা”।
আগামী পুরসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সোমবার তৃণমূল ভবনে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মাঝেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে
ভোট লুঠ করে জেতার ভাবনা মাথা থেকে বের করে দিন। গায়ের জোর দেখাবেন না। সাধারণ মানুষকে ভোট না দিতে দিয়ে জিতে যাবেন সেই ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। সাফ বার্তা দেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সঙ্গে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন পিছোতে চাইছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, আগামী ১২ এপ্রিলের পরিবর্তে ১৯ এপ্রিল কলকাতা পুরসভার নির্বাচন করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। এর আগে নবান্ন সুত্রে জানা গিয়েছিল নির্বাচনের তারিখ পিছতে চাইছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার তৃণমূল নেতৃত্বের আভাসে ব্যাপারটা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
নতুন কর্মসূচিতে কি কি রয়েছে?
দেবু টুডু জানিয়েছেন, গত ৯ বছরে তৃণমূল সরকার যে উন্নয়ন করেছে, সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই আমাদের এই নতুন কর্মসূচী “বাংলার গর্ব মমতা”। সম্প্রতি দেশজুড়ে যে কঠিন পরিস্থিতি রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই তাঁর নির্দেশকে পাথেয় করে আগামী ৭৫ দিন আমরা আমাদের কর্মসুচী চালিয়ে যেতে চাই। সকলকে বলা হয়েছে নিজেদের সোশ্যাল মাধ্যমে “বাংলার গর্ব মমতা” ছবি লাগানোর জন্য। আমাদের এই কর্মসূচী চলবে।
আরও পড়ুনঃদোলের পরেই জারি হবে পুর ভোটের বিজ্ঞপ্তি
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতা, রাসবিহারী হালদার জানিয়েছেন, সোমবার যে মেগা ইভেন্ট “বাংলার গর্ব মমতা” শুরু হয়েছে। আমরা জেলা স্তরের নেতৃত্ব এবং শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করব। তাঁরা যে নির্দেশ দেবেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সেই নিয়ম মেনেই কাজ করবে। পুরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন এবং পুরসভা নির্বাচন আলাদা বিষয়ের নিরিখে হয়। আমরা আশা করছি পুরসভা নির্বাচনে মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখেই ভোট দেবে।