বিধানসভায় চলতি অধিবেশনে কী হবে বিধায়কদের ভূমিকা ? সোমবারই বৈঠকে তৃণমূল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সংসদীয় কাজকর্ম নিয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে তৃণমূল কংগ্রেস সোমবার পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে বিধানসভায় নৌসর আলী কক্ষে প্রস্তাবিত এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য দলের সব নতুন বিধায়ক ছাড়াও পুরনো সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে হাজির থাকার হুইপ জারি করা হয়েছে। বিধানসভায় চলতি অধিবেশনে বিধায়কদের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য অধিবেশন চলাকালীন নিয়মিত বিধানসভায় এসে সংসদীয় কাজকর্ম ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ছিল বিধানসভা অধিবেশনের শুরুর দিন। প্রারম্ভিক ভাষণে নেই ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখ। বিজেপি বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভে ভাষণ শেষ না করে বিধানসভা ছাড়েন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করার পরেই ভোট পরবর্তী হিংসার বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে বিধানসভায় বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাতেই সম্পূর্ণ ভাষন পড়তে পারেননি রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর।
বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর। এরপর তাঁকে এগিয়ে দিতে বাইরে আসেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করতেই তুমুল চিৎকার শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
জানা যাচ্ছে বিজেপি বিধায়কদের নতুন স্ট্র্যাটিজি যখনই রাজ্য সরকারের প্রশংসা মূলক তথ্য বিধানসভায় উপস্থাপন করা হবে তখনই বিক্ষোভ দেখাবেন বিজেপি বিধায়করা। এরপর ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির বিধায়করা। সেই বিক্ষোভেরর সামিল ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মিহির গোস্বামী। তবে ট্রেজারি বেঞ্চ নিরব দর্শকের মত বসেছিলেন।
প্রসঙ্গত, শনিবারই বিধানসভার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে হেস্টিংসে দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি বিধায়কদের পাঠ পড়ান দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী। সেদিনই শাসক শিবিরকে বিধানসভার অলিন্দে আক্রমণ করার সবরকম খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, ভুয়ো ভ্যাকসিন ও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসই হবে তাদের মূল হাতিয়ার। এখন দেখার বিজেপিকে মাত দিতে নতুন কি স্ট্র্যাটেজি নেয় তৃণমূল।