কবে থেকে চালানো হবে লোকাল? সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে সুখবর। চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন। অতিমারী পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে ট্রেন চালাতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার এবং রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোন পথে রেল চালানো হবে তা নিয়ে প্রস্তুতির জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার।

আর সেকারণেই ৭২ ঘণ্টা সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বের বিকেল চারটেয় ফের লোকাল ট্রেন নিয়ে বৈঠক রয়েছে নবান্নে। সেখানে চূড়ান্ত হবে ঠিক কবে থেকে লোকাল ট্রেন চলানো হবে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য রেলকে চিঠি দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তারপর ঠিক হয়, এ দিন অর্থা‍ৎ সোমবার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নবান্নে হবে লোকাল ট্রেন নিয়ে বৈঠক।

সেইমতো এদিন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবহণ সচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেন রেলের কর্তারা। এই বৈঠকে পূর্ব রেল, দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন রাজ্য পুলিশ কলকাতা পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা।

সকলের উপস্থিতিতেই মূলত এখনে ঠিক হয়, করোনা অতিমারীর মধ্যে ট্রেন চালানো যথেষ্ট ঝুঁকির। তবে মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে লোকাল ট্রেন দ্রুত চালু করা জরুরী। আর তা চালু করাও হবে।

এ দিন রেলের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়,স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোকাল চালাতে প্রস্তুত তারা। তবে যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থেই শুরুর দিকে মাত্র ১০-১৫ শতাংশ ট্রেন চালানো হবে।

অন্যদিকে, রাজ্য চাইছে কোভিড প্রোটোকল মেনেই দ্রুত চালু হোক লোকাল ট্রেন।সূত্রের খবর, রাজ্য চাইছে, শুধু অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন চলুক। সেক্ষেত্রে ক’টি ট্রেন, কোন কোন রুটে সকালে ও বিকেলে চলবে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। যে সব ট্রেন চলবে সেগুলি সব স্টেশনে দাঁড়াবে কি না, তাও আলোচনা সাপেক্ষ।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/nia-arrest-one-more-al-queda-conspirator-from-murshidabad/

এদিন মুখ্যসচিব স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, জরুরিকালীণ আর সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে কোনও ফারাক করতে চায় না রাজ্য। বরং যাত্রী সুরক্ষা, কোভিড প্রটোকল, স্যানিটাইজেশন, থার্মাল স্ক্যানিং সব কিছু মেনে কিভাবে লোকাল ট্রেন চালনো যায় তা দেখতে হবে।

মুখ্যসচিব এদিন আরও জানিয়েছেন, কোথায় ট্রেন দাঁড়াবে? কোথায় গ্যালপিন থাকবে? কোন লাইনে কটা ট্রেন চলবে? স্টেশনে কতজন থাকবে এই সমস্তটাই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। আপাতত ভাবা হচ্ছে ১২০০ জন যাত্রীর জায়গায় ৬০০ জন যাত্রী যাতে বসে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে।

তবে মেট্রোর মতো ই-পাস লোকাল ট্রেনে চালু করতে চাইছে না রাজ্য। কারণ মেট্রোয় ই-পাস চালু হওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন, যাঁরা স্মার্টফোন চালাতে পারেন না তাঁরা কি মেট্রোতে উঠবে না।

রাজ্য চাইছে না, লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটুক। তবে সবদিক বজায় রেখে কীভাবে রেল চলানো যায় তার পথ খোঁজা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, আপাতত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ট্রেন চালানো হলেও কালী পুজোর পর আরও ২৫ শতাংশ ট্রেন বাড়ানো হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট