নারেলা ম্যাডাম কে? পরিচয় আংশিক স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নারেলা ম্যাডাম কে? এর আগেই এই ব্যক্তির পরিচয় আংশিক প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের সভামঞ্চ থেকে সেই ব্যক্তির পরিচয় আরও স্পষ্ট করলেন বিজেপি নেতা।
সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কয়লার টাকা কোথায় যায়? থাইল্যান্ডে যায়। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যায়। কাশিকর্ণ ব্যাঙ্কের শাখাতে যায়”। বলেই জনসমক্ষে একটি ছবি তুলে ধরেন তিনি।
এরপরেই মাঠ ভর্তি লোকের সামনে প্রশ্নও তুলে ধরেন “ম্যাডাম নারেলাটা কে? গত লোকসভা ভোটে এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিলেন যিনি, তিনিই হলেন ম্যাডাম নারেলা। বুঝে নিন। সামাঝদার আদমীকে লিয়ে ইশারা হি কাফি হেয়”।
তবে কে এই নারেল? সেবিষয়ে স্পষ্ট না করলে শুভেন্দুর এই ইঙ্গিত তৃণমূলের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ রাজীবের চলো পাল্টাই স্লোগানে উদ্বেল বারুইপুর, চড়া সুরে সংযত বাক্যবাণে ঝাঁঝালো আক্রমন মমতাকে
এর আগে একাধিকবার ডায়মন্ড হারবারের জনসভা থেকে সদ্য বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে একাধিক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দশ বছর ধরে মধু খাওয়ার পর বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করতে দেখা যায় অভিষেককে।
তারই পাল্টা হিসাবে বারুইপুরের জনসভা থেকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বারুইপুরের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, সায়ন্তন বসু সহ একাধিক নেতৃত্ব।
এদিন বারুইপুরের যোগদান মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় এবং সায়ন্তন বসু সহ একাধিক নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।
এদিনের সভামঞ্চ থেকে একেবারে স্বভাবসিদ্ধ ভূমিকায় তৃণমূলকে আক্রমণ করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হলেন না শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, অনেকে বলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু এবার এই জেলা থেকে ভালো ফল করবে বিজেপি। তার উদাহরণ হিসাবে দীপক হালদার সহ একাধিক নেতৃত্বের যোগদানের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় বিরোধীদের কোনও জায়গা দেওয়া হয়নি। অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও একই অভিযোগ তুলেছেন বাম নেতৃত্ব। জেলার একাধিক জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি।
এমনকি গত লোকসভায় জেলার একাধিক জায়গায় ভোট হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। “গণতন্ত্র বিপন্ন”। বারুইপুরের সভামঞ্চ থেকে এই অভিযোগ তুলতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। একইসঙ্গে তৃণমূল ‘দুই জনের পার্টি’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এমনকি দক্ষিণ ২৪ পরগণার পরবর্তী সভা কুলতলিতে করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কেন দশ বছর পরেই শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতাদের মোহভঙ্গ হল? কেন এর আগে এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি?