অমরিন্দর সিংয়ের পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে সিধু ও সুনীল জাখর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কৃষক আন্দোলনের আবহে ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে রবিবার সকাল পর্যন্ত কোন কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে একাধিক নাম উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম নব্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান নভজোৎ সিং সিধু।
কয়েক মাস আগেই সিধুকে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান হিসেবে নির্বাচন করে দল। দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস শিবিরে, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের বিরোধী হিসেবে তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে নাম উঠে এসেছে পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান সুনিল জাখরের ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সুনিল জাখর মুখ্যমন্ত্রী হলে হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী আর জাঠ শিখ প্রদেশ কংগ্রেসের মেলবন্ধন হতে পারে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষে যা ইতিবাচক। তবে জানা গিয়েছে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর পছন্দ রাজ্যসভার সাংসদ অম্বিকা সোনিকে। যদিও তিনি একেবারেই রাজি নন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে।
সূত্রের খবর আজ সকাল ১১ টায় চন্ডিগড় কংগ্রেসের বৈঠক হবে। হরিশ রাওয়াত, অজয় মাকেন এবং হরিশ চৌধুরীর মতো কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য অমরিন্দর সিং ইস্তফা দেওয়ার পর শনিবার রাতেই রাহুল গান্ধীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। হাজির ছিলেন কংগ্রেস সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল ও অম্বিকা সোনি, নভজোৎ সিং সিধু সুনিল জাখর সহ অন্যান্যরা।
সেই বৈঠকে সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা হলে তীব্র বিরোধিতা করেছেন অমরিন্দর সিং। সিধুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর কথায় সিঁধুর সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে জাতীয় সুরক্ষায় সংশয় তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। এই পরিস্থিতিতে যখন কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে কংগ্রেস, তার মাঝেই শস্যগোলা পাঞ্জাবে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নিঃসন্দেহে বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন প্রাচীন দল।