জাতীয় কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে?
শুভজিৎ চক্রবর্তী
জাতীয় কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে? এটা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সর্বভারতীয় সভাপতি পদে সোনিয়া গান্ধীর পর কে? ১০ নং জনপথের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
নতুন সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে অন্য কাউকে দেখতে চাইছে প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুল। সেক্ষেত্রে উঠে আসছে বেশ কিছু বর্ষীয়ান নেতার নাম যার মধ্যে রয়েছেন, মুকুল ওয়াসনিক। দলে প্রবীনের সঙ্গে নবীনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তার রয়েছে।
এই দৌড়ে রয়েছেন মল্লিকাজুন খাড়গে, সুশীল সিন্ডে, মীরা কুমার, গুলাম নবী আজাদ, আহমেদ প্যাটেলের মতো বর্ষীয়ান নেতারা।
পিছিয়ে নেই গুরুত্বপূর্ণ দুই কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট এবং ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নাম৷ তবে বিরোধীদের ঘাম ছোটানোর জন্য পি চিদম্বরমকেও এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। পিছিয়ে নেই কর্ণাটকের লড়াকু নেতা ডিকে শিবকুমার।
তবে কংগ্রেসের একাংশের মতে, গান্ধী পরিবারের বাইরে হলেও গান্ধী পরিবারের আনুগত্যের বাইরে অন্য কেউ বেশীদিন টিকতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আহমেদ প্যাটেল, মল্লিকাজুন খাড়গে, সুশীল শিন্ডের মতো নেতাদের এগিয়ে রাখা হচ্ছে।
এর আগে ইউ এন ধেবর, সীতারাম কেশরীর মতো নেতারা কংগ্রেসের সভাপতিত্ব করেছেন। নেতৃত্ব সামলেছেন কে কামরাজ এবং পিভি।নরশিমা রাওয়ের মতো দাপুটে নেতারা। তাই গান্ধী পরিবারের বাইরে নতুন সভাপতি খোঁজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে কংগ্রেসকে।
যদিও গান্ধী পরিবারের বাইরে নতুন কাউকে চান না রাহুল সমর্থকরা। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বক্তব্যে কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন কংগ্রেসের একাংশ।
একুশের ধাঁচে ২৮-এও ভার্চুয়াল সভা, প্রধান বক্তা মমতা
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং শিক্তিশিন গোহিল জানিয়েছেন, এক বছর আগে সভাপতি পদ থেকে রাহুল ইস্তফা দিলেও গত এক বছর চাঁচাছোলা মন্তব্যে সরকারকে পর্যদুস্ত করেছেন রাহুল। তাই তাকেই সেই পদে দেখতে চায় দল।
যদিও কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের মতে অবিলম্বে কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন করা হোক।
কংগ্রেসের একাংশের মতে, সোনিয়া গান্ধী দলের সভাপতি পদে নিযুক্ত থাকলেও দলের বেশীরভাগ কাজের দায়িত্ব পালন করেছেন রাহুল। যদিও অনর্থক দেরি না করে তড়িঘড়ি সভাপতি পদের জন্য দলের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন কংগ্রেস বেশ কিছু সদস্য।
এমনিতেই কর্ণাটক, গোয়া, মণিপুরের পর বিজেপির নজরে ছিল রাজস্থান। কিন্তু সেখানে ক্ষমতা কায়েম করতে সক্ষম হয়নি গেরুয়া শিবির।
তা সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়েছেন মানুষ। বিহার, বাংলার মতো দুই গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভার নির্বাচনের আগে সভাপতি পদে পোক্ত কাউকে আনা দরকার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷