দলিতদের জন্য এত সমব্যথী হলে হাথরসে কেন গেলেন না অমিত শাহ: অধীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অমিত শাহের দলিত বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেস। এই দুই রাজনৈতিক দল একযোগে এই প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপি যদি সত্যিই দলিত বন্ধু হয় তাহলে হাথরস কাণ্ডের সময় কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দলিত কন্যার বাড়িতে গেলেন না।
উল্লেখ্য, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে দুদিনের জন্য রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সফরের প্রথম দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিনি মধ্যাহ্নভোজ করেছেন বাঁকুড়া এক দলিত আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে। আর এ দিন অর্থাৎ শুক্রবার তিনি দুপুরের খাবার খেয়েছেন এক দলিত মতুয়া পরিবারের বাড়িতে।
ইতিমধ্যেই অমিত শাহের দলিত রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।রাজনীতিতে ভিন্ন মেরুতে থাকলেও এদিন এক ইস্যুতে অমিত শাহকে নিশানা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেসও। এদিন এই নিয়ে যেমন সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
একইভাবে মুখ খুলেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও। দুজনের মুখেই একই প্রশ্ন দলিতদের জন্য এত সমব্যথী হলে কেন হাথরস কাণ্ডের পর দলিত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন না অমিত শাহ।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন, অমিত শাহ বাংলায় এসে দলিতদের ভুল পথে চালনা করার চেষ্টা করছেন। যেখানে দলিতদের উপর অত্যাচার হয় সেখানে না গিয়ে এখানে কি কারণে মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার স্পষ্ট কথা, এরাজ্যে অমিত শাহের এত দলিত প্রেম কেন? তিনি যদি বাস্তবিকই দলিতদের জন্য সমব্যথী হতেন, তাহলে হাথরসকাণ্ডের পরে দলিত পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। যারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতেন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি দলিতদের উপর অত্যাচার করছে তখন কোথায় ছিলেন অমিত বাবু।
এদিন ধর্মতলার এক অনুষ্ঠান থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর খোঁচা, ‘যারা সোনার ভারতবর্ষ করবে বলেছিল, তারা সোনার ভারতবর্ষকে আজ সাম্প্রদায়িক ভারতে রূপান্তরিত করেছে। আপনি বলছেন দলিতদের বাড়িতে খাবেন, দলিতদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করবেন। আপনি হাথরসে গেলেন না, এখানে কেন এসেছেন? অপরদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘ওদের টার্গেট করছে মানুষ। এবারের ভোটে মানুষই ওদের লক্ষ্যভেদ করবে।’