রাজ্যে তেজস্বী, কেন্দ্রে নীতীশ? ২৪ এর এই লক্ষ্যেই কি এনডিএ ত্যাগ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহেদের জামানায় যেনতেনও প্রকারে ক্ষমতার দখলটাই করায় হয়ে উঠেছে বিজেপির নীতি। মধ্যপ্রদেশ, মনিপুর, গোয়ার পর দেড় মাস আগে যেভাবে মহারাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করল বিজেপি, তা বিরোধী শিবিরে রীতিমতো কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।
তবে মঙ্গলবার নীতীশ কুমারকে এনডিএ থেকে বের করে এনে বিজেপিকে যে বিরোধীরা জোরদার ধাক্কা দিতে পেরেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু বিজেপি জোটে ছোট শরিক হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে নীতীশ কুমার এনডিএ ছাড়লেন কেন?
দীর্ঘ দু’দশক ধরে বিহারের কুর্সীতে আছেন নীতীশ কুমার। রাজ্য রাজনীতি থেকে তাঁর নতুন করে আর পাওয়ার কিছু নেই। এদিকে বিজেপির ক্রমশ চাপ, একের পরে নেতার দলত্যাগ, টানা নির্বাচনী ব্যর্থতার জেরে সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী শিবিরের মুখ হয়ে ওঠার মতো এখন প্রায় কেউ নেই। সোনিয়া গান্ধি আছেন, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে গোটা দেশ দাপিয়ে বেরিয়ে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করবেন ও সামনে থেকে বিরোধী শিবিরকে নেতৃত্ব দেবেন তা সম্ভব নয়।
অনুব্রত আজই কি গ্রেফতার? সিবিআইয়ের পদক্ষেপে জল্পনা বাড়ছে
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিরোধী নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এর আগে এই দায়িত্ব পেয়ে রাহুল ব্যর্থ হয়েছেন। তাছাড়া রাজনীতি নিয়ে তিনি কতটা সিরিয়াস সেই বিষয়েও প্রশ্ন আছে। দেশের বিজেপি বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির একটা বড় অংশ মনে করে, রাহুল গান্ধিকে দিয়ে এই কাজ হবে না। তিনি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মোটেও প্রধান সেনাপতির ভূমিকা পালনের উপযুক্ত নন।
প্রশ্ন হচ্ছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তাহলে কে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন? বিরোধী শিবিরের এই শূন্যতাটাই জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমারের লক্ষ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, বিজেপির সঙ্গে থাকলে বিহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হতো নীতীশকে।
উল্টে নিজের দলের অস্তিত্ব ধরে রাখারটাই দিনকে দিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তাঁর কাছে। এই অবস্থায় আরজেডি, কংগ্রেস ও বাম দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন। তারপর লালু প্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবকে বিহারের কুর্সী ছেড়ে দিয়ে দিল্লির দিকে মন দিতে পারেন কুর্মী সম্প্রদায়ের এই নেতা।
তবে নীতীশ কুমার সম্বন্ধে এটা পুরোটাই অনুমানের পর্যায়ে আছে। কারণ তিনি চাইলেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে উঠতে পারবেন না। বাকি বিরোধীদের পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের শর্তহীন সমর্থন প্রয়োজন। তবেই এই সমীকরণ বাস্তবায়িত হতে পারে।