ঈদ-বড়দিনে না দিলে দুর্গা পুজোয় টাকা কেন প্রশ্ন হাইকোর্টের
hদ্য কোয়ারি ডেস্ক: করোনা আবহে আর্থিক সঙ্কটে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বারবার বলছেন, সরকারি আয় তলানিতে ঠেকেছে। এই অবস্থায় পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে।
করোনা আবহে ক্লাবগুলি ঠিকমতো বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না। এই অবস্তায় দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘোষণা করেন পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ বিলের উপরও ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
একইসঙ্গে ঘোষণা করা হয়, টাকা নেবে না পুরসভা, মিউনিসিপালিটিগুলি। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের সিটু নেতা সৌরভ দত্ত।
বৃহস্পতিবার, এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে,শুধু দুর্গা পুজোয় কেন এই ধরনের অনুদান দেওয়া হয়।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ঈদে বা বড়দিনে অনুদান দেওয়া না হলে দুর্গাপুজোয় কেন? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ধরনের ভেদাভেদ করা যায়।
একই সঙ্গে এ দিন সরকারের কাছে আদালতের প্রশ্ন, ‘যেখানে সংক্রমণের আশঙ্কায় স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ, সেখানে পুজোর অনুমতি সার্বজনীনভাবে কিভাবে দেওয়া হল।’
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এইভাবে টাকা দেওয়ার চেয়ে যদি রাজ্য সরকার মাস্ক ও স্যানিটাজার কিনে দিত, তাহলে কি সরকারের খরচ কম হত না। এইভাবে বিষয়টি ভাবা হয়নি কেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/cm-mamata-banerjee-told-about-durgapujo-in-present-of-corona-situation/
পাশাপাশি, বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের তরফ থেকে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না। একইসঙ্গে বিচারপতিরা জানান, পুজোর ভিড় কমাতে বা ভিড় সামলাতে পুলিশ-প্রশাসন কি কোনও পদক্ষেপ করেছে। কোনও পরিকল্পনা বা ব্লু-প্রিন্ট কি করা হয়েছে। করা থাকলে তা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
শুধু তাই নয়, সরকারি আইনজীবীদের বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এইভাবে সরকার কি সব অনুষ্ঠানেই আর্থিক সহায়তা করে। কারণ, দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনও একটি অনুষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারে না।
সরকার কি সেটাই করেছে। এই সব উত্তর আগামিকাল সরকারি আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারপতিরা।
উল্লেখ্য, গতকালই রাজ্যের বারোয়ারি পুজো বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি ছিল এদিন।
যদিও এই নিয়ে কোনও নির্দেশ না দেওয়া হলেও এদিন এই মামলার সওয়াল-জবাবের সময় বিচারপতিরা এরকম বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেন। যার জবাব কাল সরকার পক্ষকে দিতে হবে বলেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।