কলকাতায় কেন নেতাজি বা বিবেকানন্দের মূর্তি হবে না ? প্রশ্ন অভিষেকের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে রাজনীতির কথা বলবেন না বলে ভাষণের শুরুতেই জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ‘রাজনীতি’ চলেই এল। অন্য রাজনৈতিক মিছিলের মতো ধর্মীয় বিভাজন ইস্যুতে এ দিনও বিজেপিকে নিশানা করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।
বিজেপির বিবেকানন্দ-ভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন,’গুজরাটে ৩৫০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হল সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি। তার প্রতিবাদ করছি না। কিন্তু, কেন কলকাতার বুকে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নেতাজি বা বিবেকানন্দের মূর্তি হবে না? এই প্রশ্ন জাগছে সাধারণ মানুষের মনে।’
এখানেই শেষ নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে বলে গেলেন ‘বিবেকামুণ্ড’। তখন পাশে বসে হাততালি দিচ্ছিলেন। এখন বুকে বিবেকানন্দর ছবি ঝুলিয়ে মিছিল করছেন! “বিবেকানন্দ কোনওদিন বলেননি অমুক ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব দেব, একে দেব না। সকল ধর্মের প্রতি সমান উদার ছিলেন স্বামীজী। অথচ যাঁরা নিজেদের স্বামীজীর আদর্শের ধারক বাহক বলছেন, তাঁরা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে চলেছেন।”
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/special-tribute-to-the-martyred-soldiers-at-the-galwan-border-on-republic-day/
এ দিন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে পদযাত্রা করে তৃণমূল। হাজরায় অভিষেকের নিশানায় আগাগোড়াই ছিল বিজেপি। তৃণমূল সাংসদ বলেন,’একদিনের নোটিসে মিছিল করেছি। মানুষের বিশ্বাস, উচ্চাশা ও আকাঙক্ষাকে তুলনা করলে অন্য রাজনৈতিক দলের মিছিল ১০-০ গোলে হেরে যাবে। এটা গুজরাট নয়। বাংলায় ধর্মে ধর্মে বিভাজন করা যাবে না।
নারীর ক্ষমতায়নে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ মেনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলছেন বলে দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,’স্বামীজির দীক্ষা, শিক্ষা নিয়ে মানবসেবার কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেছিলেন স্বামীজি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মাধ্যমে সেই কাজই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাড়ির বয়স্ক গৃহকর্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন।’