নিজের দায়িত্ব লাঘবের বিলে ধনখড় আদৌ স‌ই করবেন? আচার্য পদ নিয়ে নবান্ন-রাজভবন সংঘাত চরমে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক বৈঠকে ঠিক হয়েছে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বদলে মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হবেন। কিন্তু এটা বাস্তবায়িত করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে রাজ্যকে।

বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে খুব সহজেই আইন দলে ফেরার বিল পাস করিয়ে নিতে পারবে রাজ্য সরকার। কি পাস হ‌ওয়া বিলকে আইনে পরিণত করতে হলে রাজ্যপালের স‌ই দরকার। আর এখানেই রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের অশান্তির কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে।

আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আনা নিয়ে রাজ্য সরকার যে মুক্তি দিয়েছে তা খুব একটা ভুল নয়। এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত। উপাচার্য নিয়োগের রাজ্যপাল ও সরকারের ভূমিকা থাকে। কিন্তু এই সূযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নানান বাধার সৃষ্টি করছেন।

যে যত বড় বিপ্লবী ছিল সে তত আগে পা রাখছে তৃণমূলের নৌকায়! এবার তবে কে?

ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়ে উপাচার্য নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এদিকে উপাচার্য ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে চালানো অসম্ভব। পাশাপাশি নানান অজুহাতে ধনখড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

নবান্ন-রাজভবন সংঘাত

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার বিলে ধনখড় স‌ই না করলে আরেক জটিলতা তৈরি হবে। সরকার হয়তো প্রাথমিকভাবে অর্ডিন্যান্স এনে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। কিন্তু অর্ডিন্যান্সের মেয়াদ ৬ মাস থাকে। ফলে আইন পরিবর্তনকারী স্থায়ী সমাধান। বরং বারবার একই বিষয়ে অর্ডিন্যান্স আনলে বিষয়টি আদালতে চলে যেতে পারে। এতে জটিলতা বারবে।

সংসদীয় রীতি মেনে বিধানসভায় পাশ হ‌ওয়া বিলে রাজ্যপাল স্মৃতি দেবেন এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল যেভাবে সামান্য ছুতোয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পরছেন তাতে তিনি আদৌ নিজের অপসারনের বিলে সই করবেন কিনা সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের এই সংঘাতের আঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর না পড়াটাই কাম্য।

সম্পর্কিত পোস্ট