সিঙ্গেল বেঞ্চে গড়াবে নারদকাণ্ডের শুনানি!

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১৭ তারিখ থেকে হাইকোর্টে একটানা চলছে নারদকাণ্ডের শুনানি। চার হেভিওয়েট নেতা সুব্রত মুখার্জী, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের জামিনের পরেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ভিন রাজ্যে মামলার স্থানান্তর করতে মরিয়া সিবিআই। চলছে বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল জবাব পর্ব।
এরপর মামলা ভিন রাজ্যে না নিয়ে যাওয়ার সপেক্ষে যুক্তি শুরু করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, ১৭ মে সিবিআই আদালতে মামলা চলাকালীন এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি যাতে মনে হয়েছে বিচারপতিকে প্রভাবিত করা হয়েছে। সঠিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি।
এর সপেক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বেশ কিছু মামলার কথা তুলে ধরেন সিংভি। ১৯৯৯ সালের বিজয় পালের ঘটনা। যেখানে এলাহাবাদ আদালতে মামলার স্থানান্তরের কথা বললেও সুপ্রিম কোর্ট রাজি হয়নি। একই ঘটনার সাপেক্ষে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের একটি মামলার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
কিন্তু শুরু থেকে ১৭ মে নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না, আদালতের বাইরে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ধর্নাকেই হাতিয়ার করেছে সিবিআই। ওই ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে মামলা স্থানান্তর করতে চাইছে সিবিআই।
এদিন আদালতে একটি বিশেষ তথ্য তুলে ধরেন সিংভি। তিনি বলেন, সিআরপিসি ৪০৭ ধারায় উল্লেখ রয়েছে এবিষয়ে রায় দিতে পারবে সিঙ্গেল বিচারপতি। বুধবার মামলার শুনানি শেষ। বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি। বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হবে মামলার শুনানি।
অন্যদিকে, হেভিওয়েট নেতাদের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে ফের সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা দায়ের হতে পারে। মামলা রাজ্যের বাইরে তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে নিরপেক্ষ সংস্থার দ্বারা তদন্তের কথা বলা হয়েছে। দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সাসপেন্ড এবং বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। যার ফলে ফের অস্বস্তিতে পড়তে পারেন চার হেভিওয়েট নেতা।