শীতের নরম রোদ গায়ে মেখে ভোট উৎসবে মাতলেন শহরবাসী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হিমেল হাওয়া, মিঠে রোদ, বাতাসে বড়দিনের কেকের গন্ধ ভাসছে। এমন এক রবিবার সকাল থেকে কলকাতার নাগরিকরা মেতে উঠলেন ভোট উৎসবে। আবহাওয়া দফতরের খাতায় এদিন সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ছুটির দিন স্বাভাবিকভাবেই লেপ-কম্বলের মৌতাত ছেড়ে বুথ মুখী হওয়ার তাগিদ অনুভব করেননি বেশিরভাগ মানুষ।
তাই সকালের দিকে কোনও বুথেই ভোটারদের তেমন লাইন চোখে পড়েনি। তবে বেলা যত গড়িয়েছে লাইন হয়েছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। ব্যতিক্রম আশি বছরের বিজিত রায়চৌধুরী। নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য সকাল বেলাই শীতকে উপেক্ষা করে হাজির হয়েছেন ভোট দিতে।
উল্লেখযোগ্য ব্যাপার তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটকেন্দ্র মিত্র ইনস্টিটিউশনের ভোটার।সাত সকালেই হাজির হন ভোটদানের জন্য। বিজিত বাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বুথে আমিই প্রথম ভোট দেব। এটা আগেই ঠিক করেছিলাম। ভোট নষ্ট করা যাবে না। ভোট খুব ভালো হচ্ছে। ভোট আগে দেওয়াটা জরুরি। আমাদের আরও দায়িত্বশীল, চিন্তাশীল হতে হবে।’
সকাল হতেই সব দলের এজেন্টরা পৌঁছে যান সংশ্লিষ্ট বুথে। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। করোনাবিধির কথা মাথায় রেখে প্রতিটি বুথে ছিল স্যানিটাইজার। প্রত্যেক ভোটারকে থার্মাল চেকিংয়ের মাধ্যমে যেতে হয়েছে। দেওয়া হয়েছিল গ্লাভস। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় মুখে তৃপ্তির হাসি।
KMC Election2021: সস্ত্রীক ভোট দিয়েও ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
পুরভোটের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল অভূতপূর্ব। কলকাতা পুরভোটে প্রায় ২৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। শহরে ২০০টি জায়গায় রয়েছে পুলিশ পিকেট। শহরে প্রবেশ করার সমস্ত রাস্তায় চলেছে কড়া নজরদারি। রয়েছে ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম।
শীতের রবিবার মানেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়া। এদিন অবশ্য শহরবাসীর অধিকাংশ নিজেদের পাড়াতেই বন্দি রাখাই শ্রেয় বলে মনে করেছে। রাস্তা-ঘাট ছিল ফাঁকা। সরকারি ও বেসরকারি বাস রাস্তায় চোখে পড়েছে। তবে অধিকাংশ বাস প্রায় খালি ছিল বলা যেতে পারে।রবিবার মানেই থলে হাতে বাজার যাওয়া।
যেমন কালীঘাটের তারক পাল। বগলে বাজারের থলে নিয়েই দাঁড়িয়েছিলেন ভোটের লাইনে। ভোট সেরেই যদুবাবুর বাজারের দিকে হাঁটা দিলেন টাটকা ইলিশের সন্ধানে। হেসে বললেন,”ভোট পুজোর প্রসাদ টা একটু জবরদস্ত না হলে চলবে কেন! কিছুদিন ধরেই শুনছি বাজারে ভালো ইলিশ উঠছে।আজ সুযোগ আছে,একটু ঢু মেরে আসি।”