কেন্দ্রের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষ বৈঠকে নারাজ কৃষক, জারি রইল আন্দোলন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শর্তসাপেক্ষে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে জানাতে রবিবার বৈঠকে বসেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শর্তে রাজি হলেন না কৃষকরা। রাজধানী প্রবেশের মূল রাস্তাগুলি অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কৃষকরা।
আন্দোলনরত কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারের উচিত ছিল কোনও শর্ত না রেখে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হওয়া। কোনও শর্ত না দিয়ে সরকার যদি আলোচনায় বসতে চায় তবেই রাজি হবেন তাঁরা। দাবী কৃষক সংগঠনগুলির। পাশাপাশি তাঁরা এও জানিয়েছেন বুবারির মাঠে যাওয়ার থেকে জেলখানা অনেক ভালো। তাই দিল্লি প্রবেশের পাঁচটি পথ অবরুদ্ধ করে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নতুন কৃষি আইন কৃষকদের নতুন দিশা দেখাবে। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কৃষকদের জন্য এই আইন নতুন দরজা খুলে দেবে। কৃষকদের এই চাহিদা কোনও রাজনৈতিক দল পূরণ করেনি।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলোচনায় বিক্ষুব্ধ কৃষক সংগঠনগুলি
প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্যের পরেই কৃষক আন্দোলনের সাত দলের একটি কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর ওই কমিটির সদস্য এবং স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব জানিয়েছে, কৃষকদের ওপর জোর করে শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তাই দিল্লির বাইরে আন্দোলনে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে কৃষকরা। পাশাপাশি আন্দোলনরত কৃষকদের কথায়, আগামী চার মাসে রেশন নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন তাঁরা। তাই খাবারের কোনও অসুবিধা হবে না।
কৃষকদের কথায় সরকারের উচিত কৃষকদের ওপর কোনও শর্ত চাপিয়ে না দেওয়া। শুধুমাত্র আইনের লাভ নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়। গোটা দিল্লি জুড়ে কৃষকদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শর্ত দেন, সরকার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি। কিন্তু কৃষককে নির্দিষ্ট জায়গায় আন্দোলন নিয়ে যেতে হবে। রবিবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আন্দোলনের আকার। পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের কৃষকরা আন্দোলনে শামিল হতে শুরু করেন। ট্রাক্টর, গাড়ি, মোটর সাইকেল এমনকি পায়ে হেঁটে আন্দোলনে শামিল হতে দেখা যায় কৃষকদের।
কৃষক আন্দোলনকে অপমান করার অভিযোগ হরিয়ানা মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের ওপর সঁপেছেন প্রাক্তন এনডিএ সদস্য আকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল।