অপরাধীদের মতো আচরণ টেট পাশদের সঙ্গে, পুলিশের ভূমিকায় উঠল প্রশ্ন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বুধবার সকাল থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ শিয়ালদহ স্টেশন। জনে জনে যাত্রীদের দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কলকাতা পুলিশ ও জিআরপির আধিকারিক-কনস্টেবলরা। বিশেষ করে যাদের পিঠে স্কুল ব্যাগ তাদের দিকে পুলিশের নজর যেন একটু বেশি ছিল। বলতে গেলে তারা যেন কাউকে গরু খোঁজা খুঁজছিল। কিন্তু কাকে?

কোন‌ও সন্ত্রাসবাদীর যাতায়াতের খবর থাকলে পুলিশ যেমন তৎপর হয়ে ওঠে দৃশ্যটা অনেকটা তেমনই ছিল। তবে সত্যিই কি কোন‌ সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা ছিল? উত্তর হল না। এইভাবে বিশাল বাহিনীকে শিয়ালদা স্টেশনে পাঠিয়ে কলকাতা পুলিশ আসলে ২০১৪ এর টেট পাস নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের খুঁজছিল!

কারণ তাদের কাছে খবর ছিল, সল্টলেকের ধর্না থেকে মধ্যরাতে তুলে দেওয়া এই চাকরিপ্রার্থীরা বুধবার আবার শিয়ালদহ হয়ে বিধাননগরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে হাজির হয়ে যেতে পারেন। নতুন করে আবার ধর্না শুরুর আশঙ্কাকেই এমন অতি তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ।

ভারতের ‘খণ্ডিত হৃদয়’ জুড়তে গিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের‌ও পাশে পাচ্ছেন রাহুল

তবে টেট পাস আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে কলকাতা পুলিশের এই অতি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যে যেখানে প্রতিদিন গাদা গাদা অপরাধ ঘটেছে, খুন-জখম হচ্ছে, সেইসব আটকাতে ব্যর্থ পুলিশ একটা গণতান্ত্রিক উপায়ে হওয়া আন্দোলন ঠেকাতে কেন এই অতি তৎপর? তবে কি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন?

বিরোধী সিপিএম-বিজেপির প্রশ্ন, তবে কি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চাকরিপ্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলন তৃণমূল সরকারকে প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছে? তাই পুলিশকে ব্যবহার করে যে কোনও উপায়ে আন্দোলন ঠেকানোর মরিয়া প্রয়াস চলছে?

তবে কলকাতা পুলিশের এই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কারণ প্রায় গেরিলা কায়দায় দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ এক্সাইড মোড়ে হাজির হয়ে হঠাৎই ধর্নায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট