মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সাড়ে তিন বছর ধরে অধরা থাকার পর গত বছর দুর্গা পঞ্চমীর দিনে আবির্ভাব হয় বিমল গুরুংয়ের। তবে এবার বিজেপিকে নয়, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তিনি। সেই সময়েই স্পষ্ট করেন তিনি। এরপর পাহাড়ে একের পর এক জনসভা করে ছাপ ফেলেছেন বিমল গুরুং এবং তাঁর সমর্থকরা।

ভোটের মুখে বিশেষ ছাড় পেলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্যতম সদস্য। প্রায় ৭০ টি বেশী মামলা প্রত্যাহার করা হল বিমল গুরুংয়ের ওপর থেকে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং সহ একাধিক জায়গার মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ইউএপিএ এবং খুনের মামলা ছাড়া একাধিক মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বিমল গুরুংয়ের ওপর থেকে। এদিন রাজ্য সরকারের আইন বিভাগের তরফে দার্জিলিং পুলিশের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়।

সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং সহ পাহাড়ের একাধিক জায়গায় যে সমস্ত আদালতে মামলা রয়েছে তা পুলিশ প্রসিকিউটারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের মামলাগুলি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করা।

আরও পড়ুনঃ চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে, দাবী পামেলা গোস্বামীর

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তপ্ত হয়ে পাহাড়। অগ্নিগর্ভ পাহাড়ে চলে ভাঙচুড়ের ঘটনা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে পাহাড় ছাড়তে হয়েছিল বিমল গুরুংকে। একটানা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে পাহাড়। ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয়েছিল অমিতাভ মালিককে।

তারপর বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের আড়ালে থেকেই অন্যতম জোট সঙ্গি বিজেপিকে জিতিয়েছেন গুরুং। সম্প্রতি ভোল বদলে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফিরেছেন পাহাড়ে।

বিমল গুরুংকে নিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দ্বিধাবিভক্ত হলেও পাহাড়ে তাঁর যে এখনও জনরপ্রিয়তা রয়েছে তা একের পর এক জনসভায় বুঝিয়ে দিয়েছেন গুরুং। সেকারণেই কি বিমল গুরুংয়ের ওপর থেকে একাধিক মামলা প্রত্যাহার করা হল? যদিও এখনও অবধি খুনের এবং ইউএপিএ মামলা তুলে নেয়নি রাজ্য সরকার।

গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে একটিও আসন পায়নি তৃণমূল। কিন্তু পাহাড়ের মানুষের দাবী পূরণ না করায় এবার বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে গুরুং পন্থীরা। তবে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে চলেছে পাহাড়ে? প্রশ্ন উঠছে হিল কার্ট রোড থেকে টাইগার হিল অবধি।

এবিষয়ে বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা‌র সঙ্গে কথা বলে দ্য কোয়ারি। তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকলেই অপরাধী। আর তৃণমূলে গেলেই সাত খুন মাফ। আর বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া । মানুষ এখন তৃণমূলের এই নীতি বুঝতে পেরেছে। তাই আগামী বিধানসভায় এর জবাব দেবে।

সম্পর্কিত পোস্ট