কেষ্ট বিহীন পূর্ব বর্ধমানে ক্ষোভ বাড়ছে নিচুতলায়, ব্লক কমিটি গড়তে ‘ইতস্তত’ করছে তৃণমূল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর তৃণমূল তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের বেলায় তা হয়নি। বরং বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের বাকি নেতারা প্রকাশ্যে কেষ্টর পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছেন।

এর‌ই মাঝে ঘর গোছানোর কাজ‌ও শুরু করতে হয়েছে শাসকদলকে।  কারণ আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট হ‌ওয়ার কথা। এর ফলে জেলায় জেলায় ব্লক সভাপতি পরিবর্তন করা হচ্ছে। কিন্তু এই করতে গিয়ে তৃণমূলে বিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। পূর্ব বর্ধমানে রীতিমতো গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

রাজ্যের শষ্য ভাণ্ডার বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের একাংশ অনুব্রত মণ্ডল নিয়ন্ত্রণ করতেন। বোলপুর লোকসভার মধ্যে থাকার কারণে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রাম এই তিন বিধানসভার দায়িত্বে ছিলেন কেষ্ট। কিন্তু তিনি জেলে যাওয়ায় এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন।

পরিস্থিতি বুঝে অনুব্রতকে সরিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কেই এই তিন জেলার মাথায় বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বাকি ১৩ টি বিধানসভার বেশ কিছু ব্লকে নতুন সভাপতি এনেছে তৃণমূল। সবকিছুই কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে বসে ঠিক হয়েছে।

এর থেকে পরিষ্কার, জেলার অন্তর্দ্বন্দ এড়াতে নিচুতলায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন অভিষেক। কিন্তু তাতে সমস্যা কমার বদলে বেড়ে গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, নতুন ব্লক কমিটিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের‌ই নিতে বলা হয়েছে। এর ফলে অনেকের বাদ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের নেতাদের মধ্যে। যদিও এখনও ব্লক কমিটি তৈরি করা হয়নি।

ইডি’র ডাক অভিষেককে, দু’পক্ষ‌ই রাজনীতির ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত

এমনিতেই বালি পাচার, গরু পাচারের পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ে অভিযুক্ত পূর্ব বর্ধমানের বহু ব্লক ও অঞ্চল স্তরের তৃণমূল নেতা। নির্দিষ্ট চেন মেনে সেই টাকা বিতরণ হয়েছে। ফলে এই নেতাদের অনুগামীর সংখ্যা যথেষ্ঠ।

স্বচ্ছতার প্রশ্নে এই নেতাদের ব্লক কমিটি থেকে বাদ দিলে কার্যত বিদ্রোহ হতে পারে। অথচ ওই নেতাদের উপর আমজনতার একটা বড় অংশ প্রবল ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৃণমূলের জেলা কমিটি ব্লক সূত্রের কমিটি গঠনে ধীরে চলো নীতি নিয়ে চলতে চাইছে। তবে জেলার পরিস্থিতি পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের চিন্তা বাড়াবে।

সম্পর্কিত পোস্ট