কোনও আদালত অভিযুক্তদের বিনা নোটিশে জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে নাঃ সিংভি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক : নারদ কান্ডে অভিযুক্ত 4 হেভিওয়েটের শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টে। মামলার শুরুতেই আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান কোনও আদালত অভিযুক্তদের বিনা নোটিশে জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সিবিআইয়ের তরফে দাবী করা হচ্ছে যেন গোটা কলকাতা শহর জ্বলন্ত অবস্থায় রয়েছে। অথচ তাঁরা ভার্চুয়ালি সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জমা দিচ্ছে।
সিবিআইয়ের তরফে আগে থেকেই বলা হচ্ছিল গোটা মামলার তদন্ত রাজ্যের বাইরে করা হোক। সেই কথাই শুনানি চলাকালীন উল্লেখ করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা৷
পাল্টা অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, সলিসিটর জেনারেলের তরফে কোনও সিআরপিসি ৪০৭ ধারা অর্থাৎ রাজ্যের বাইরে মামলা নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ নেই। এমনকি সেই বিষষে তিনি কোনও এভিডেভিট জমা করেননি।
সিলভিঃ সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৫০ বছরের কাছাকাছি বিধায়ক হিসেবে রয়েছেন। ৭৫ বছর বয়স। সুপ্রিম কোর্ট যদি এই কোভিড পরিস্থিতিতে ক্রিমিনাল দের ছেড়ে দিচ্ছে।তাহলে এদের কেন জামিন হবে না ?কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম মেনে মুক্তি দেওয়ার কথা।
আইনজীবী লুথরা বলেন, ওই দিনেই চার্জশিট জমা করা হয়। আবার ওই দিনেই গ্রেফতার করা হয়৷ সেখানে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই।
নারদা নাটকে বাদ কেন শুভেন্দু- মুকুল ? জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে শীতল স্রোত রাজ্য বিজেপির অন্দরে
প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল প্রশ্ন করেন, সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা অসম্ভব। কারণ সিবিআই অফিসের বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত রয়েছে।
সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সিবিআই অফিসারদের ভয় দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন সলিসিটর জেনারেল। এমনকি গ্রেফতারের হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
একইরকমভাবে তাঁকে গ্রেফতারির কথাও বলেন তিনি। এরপর আদালতের শুনানি চলাকালীম আদালতের বাইরে জমায়েত নিয়েও আদালতে উল্লেখ করেন তুষার মেহতা।
পুরো ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে যাতে আদালতে অভিযুক্তদের উপস্থিত না করা যায়।
হাজারো সংখায় তৃণমূল কর্মীরা বাইরে জমায়েত হয়ে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন। সবকিছু মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হয়ে বলে অভিযোগ করেন তুষার মেহতা।
এই সমস্ত ঘটনার জন্যেই অভিযূক্তদের মেডিকেল পরীক্ষা করা যায়নি। তাঁদেরকে আদালতে উপস্থিত করানো যায়নি। গোটা ঘটনায় পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে যে সিবিআইয়ের পক্ষে পুলিশি সহায়তা সঠিক বলে মনে হয়নি৷ পরিকল্পিতভাবে সিবিআইকে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে৷
পরিকল্পিতভাবে সিবিআইকে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তুষার মেহতা বলেন, আদালতে মামলা চলাকালীন তৃণমূল সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। মামলা চলাকালীন সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। এটা শুধুমাত্র মামলার নয়, আইন প্রক্রিয়ায় আঘাত হেনেছে।
পরিস্থিতি এমন তৈরি করা হয়েছিল যাতে কোনওভাবেই পুলিশি হেফাজতের কথা তো দূর জামিনের বিরোধিতা করা যায়নি।
শুধুমাত্র সিআরপিসি ৪০২ ধারা নয়, এমনকি ৪৮২ ধারা অর্থাৎ শুনানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
সকলেই বর্ষীয়ান মানুষ। সকলের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয় তবে তা প্রশাসনের গালে বড় থাপ্পড় হবে।
অভিষেক সংভিঃ সিবিআইয়ের তরফে ভার্চুয়াল শুনানির কথা বলা হয়েছিল আমি তাতে রাজি হয়েছি৷ এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি যেখানে জমায়েত জনতা সিবিআইয়ের ওপর হামলা করেছে। তাছাড়া গণতান্ত্রিক দেশের মতোই এ ঘটনাতেও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা বিরোধিতা শুরু করেন। কিন্তু সিবিআইয়ের ওপর কোনও আঘাত আনা হয়নি৷ এখনও আন্দোলনকারীদের ইস্যুকে ব্যবহার করছে সিবিআই।
এরপরেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন আপনি কী তাহলে মনে করছেন না মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসে গিয়ে ধর্না দিয়েছিলেন।
সিংভিঃ তিনি শুধুমাত্র একজন বিধায়ক পদে থেকে অন্য বিধায়কদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।শুধুমাত্র নির্বাচনে হারের পরেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যেখানে বেআইনিভাবে রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি৷ তাই বিধায়কদের মনে হয়েছে কেউ নির্বাচনে হারকে হজম করতে না পেরে এই সমস্ত কার্যকলাপ করছে।
সিংভির অভিযোগ, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের স্ট্রিং অপারেশনের কোন তথ্য নষ্ট করেছেন যে তাঁদেরকে এই সময় এত চটজলদি গ্রেফতার করতে হচ্ছে?