রাজ্য জুড়ে বল্গাহীন নারী নির্যাতন ! মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে কোথায় নিরাপত্তা?
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ধর্ষণ। সমানাধিকারের এই যুগেও ‘ধর্ষণ’ শব্দটা মেয়েদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। কারণ সে জানে পুরুষ আর কিছুতে পেরে না উঠলে এই ঘৃণ্য পথ অনুসরণ করে। সবাই নয়, কিন্তু অনেকেই। তবুও প্রতিদিন রাত সর্বত্র ধর্ষণ হয় না। কারণ বার্তা। প্রশাসনিক বার্তা।
এই ঘৃণ্য অপরাধ করলে তার বাকি জীবনটা শেষ হয়ে যেতে পারে, এই প্রশাসনিক সুস্পষ্ট বার্তা অনেক ধর্ষকাম মানুষেরই অন্তরে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। তা বাস্তবে প্রয়োগ করে ওঠার সাহস দেখাতে পারে না অনেকেই। যা মন্দের ভালো। কিন্তু গত কয়েকদিনে বাংলার ছবিটা যেন বড় অন্যরকম, খুব অচেনা হয়েগেছে।
হাঁসখালি, রায়গঞ্জ, বোলপুর, নামখানা আপাতত এই চারটে নাম বলা যায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই চার জায়গা আলোচনার একেবারে শীর্ষে। কোথাও নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, আবার কোথাও বাড়ির বধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে! কোনটা কোন জায়গার ঘটনা তা নিয়ে আলাদা করে চর্চার থেকেও জরুরি ভয়াবহতা উপলব্ধি করা।
Hanskhali minor girl death : হাঁসখালিতেও CBI, রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই আদালতের
পুলিশ কিন্তু কোথাও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, আবার কোথাও গ্রেফতারের জন্য অত্যন্ত সক্রিয়। মানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর। তবে সমস্যার কী আছে? আছে। সমস্যা হল অপরাধ ঘটে যাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার থেকে তুমি অপরাধ করলে কেউ তোমায় রেয়াত করবে না, বা অপরাধ করার আগেই তোমাকে সমূলে উৎখাত করা হবে এই বার্তাটা অত্যন্ত জরুরী।
যদিও বাংলার মানুষ হয়ে প্রশাসনের কাছে এই আশা রাখাটাই অন্যায়। কারণ ধর্ষণ হলেও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা বা প্রেগনেন্ট কিনা তা বিচার করতে বসে যান! যেন প্রেমের সম্পর্ক থাকলে কাউকে ধর্ষণ করা যায়, বা কেউ গর্ভবতী হলে তার সঙ্গে যা ইচ্ছা করার অধিকার থাকে সঙ্গীর! অথচ হাঁসখালির ওই নাবালিকা ধর্ষণের জেরে শেষ পর্যন্ত মারা যায়। অভিযোগ, প্রভাবশালী ধর্ষক পরিবারের চাপে রাতারাতি তাকে দাহ করা হয়।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের কথা বলার পর হতাশা ছাড়া আর কিচ্ছু আসে না। তবুও নিজের ভালো নিজেকে খুঁজতে হবে। তাই ধর্ষণপুরী বলে চিৎকার করুন। কারণ আক্রোশ সবসময় পুষে রাখতে নেই, কখনও কখনও তা প্রকাশ করতে হয় বৈকি। তবেই না পাপীষ্ঠরা ভয় পাবে!