করোনাকালে দেশে ফের আর্থিক সংকোচন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে ফের ধাক্কা অর্থনীতিতে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতে আর্থিক সংকোচন হয়েছে ৭.৩ শতাংশ।

  • চতুর্থ ত্রৈমাসিক গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ১.৬ বাড়লেও তা আশানুরূপ নয় বলে দাবী করছেন অর্থনীতিবীদরা। বিগত ৪০ বছরে দেশের অর্থনীতিতে এর থেকে খারাপ অবস্থা হয়নি বলে দাবী করছেন অর্থনীতিবীদরা।

গত বছর কোভিড সংক্রমণের শুরু থেকেই দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কেন্দ্রের তরফে বারবার দাবী করা হচ্ছিল আনলক পর্বে দ্রুত পুনুরুদ্ধার হচ্ছে অর্থনীতি। কিন্তু তা না হয়ে আরও একবার পরিসংখ্যান প্রমাণ করে দিল দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ব্যাপকভাবে আহত হয়েছে।

গত অর্থবর্ষের প্রথমেই দেশের জিডিপি ছিল মাইনাস ২৪ শতাংশ। তার পরে সমস্ত কিছু খুলে দেওয়ার পরে পরবর্তী কোয়ার্টারে তা সামান্য ঘুরে দাঁড়ালেও তা অব্যহত থাকেনি।

অর্থনীতির এই অবস্থা থেকে প্রশ্ন উঠছে শেষ সাত বছরে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জামানায় এমন কি হল যাতে গোটা অর্থনীতির এই বিপর্যয় হতে শুরু করল? গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ২০১৩ সাল থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে ফের ভারতীয় অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থা দেখা যায়। নোটবন্দি এবং জিএসটির প্রভাবে ভারতীয় অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে তা একপ্রকার সত্য।

২০২০ সালে মহামারি এবং লকডাউনের কারণে জিডিপি আরও কমে যায়৷ যা বিগত ৪২ বছরে দেখা যায়নি। ২০১৪ সালে ভারতীয় মুদ্রায় ডলারের মুল্য ছিল ৫৯ টাকা। সাত বছর পর তা হয়েছে ৭৩ টাকায়।

অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। টুইট করে তিনি বলেন, সর্বনিম্ন জিডিপি এবং সর্বোচ্চ বেকারত্ব।

সম্পর্কিত পোস্ট