গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোপ! নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা প্রত্যাহার কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর – দলে নিতে নারাজ কং-বিজেপি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গণি খানের জেলায় অবশ্যই বড় ঘটনা। একই সঙ্গে বড় ঘটনা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের মুখেও। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। যা কার্যত বুঝিয়ে দিল তৃণমূলের সঙ্গে এই নেতার এখন দূরত্ব ক্রমশই বেড়ে চলেছে।
একই সঙ্গে মালদার ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যে এবার এই নেতা শাসক দলের টিকিট পাবেন না সেই সম্ভাবনাও আরও জোরদার হয়ে গেল। এই অবস্থায় কৃষ্ণেন্দুবাবু তৃণমূলে থাকবেন নাকি দলবদল করবেন সেটা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে সেখানেও রয়েছে সমস্যা।
বিজেপির স্থানীয় ও জেলা নেতৃত্বের একাংশ একদমই চান না রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী পদ্মবনে আসুন। একই ছবি কংগ্রেসের ঘরেও। স্বাভাবিক ভাবেই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল।
যদিও এই রাজনীতিবিদ বরাবরই দলবদলে ওস্তাদ হিসাবে প্রমাণিত হয়ে এসেছেন। এবারেও সেই ছবিই দেখা যায় কিনা সেটাই এখন দেখার। ইংরেজবাজারের রাজনীতিতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও নিহাররঞ্জন ঘোষের বিবাদ বহু পুরাতন।
নিহারবাবু পুরসভা নির্বাচনে কৃষ্ণেন্দুবাবুকে হারিয়ে শুধু তাঁর পুরপ্রধান হওয়ার পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছিলেন তাই নয়, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে হারিয়ে নিজে বিধায়ক হয়েও গিয়েছিলেন। এই অবস্থায় দুইজনই এখন রয়েছেন রাজ্যের শাসক দলে।
অবাধ ও নির্বিঘ্নে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্নে ৬ থেকে ৮ দফায় নির্বাচন , খবর কমিশন সূত্রে
গত মাসে মালদা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সভা থেকে তো আক্ষেপ করেইছেন যে মালদা থেকে তাঁকে বার বার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে, তেমনি এটাও বলে এসেছিলেন এবার আর খালি হাতে ফিরতে চান না।
এই অবস্থায় যখন গোটা তৃণমূল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করছে ঠিক তখনই নিহারবাবুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে প্রাণে মারার অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। কারন সাম্প্রতিক কালে তাঁদের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট কে পাবে তা নিয়ে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নীহারবাবুর বাড়িতে হামলার ঘটনার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। একই সঙ্গে তাঁর টিকিটপ্রাপ্তির সম্ভাবনাও কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় হয় তাঁকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে লড়াই করে তাঁর গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে হবে নাহলে রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে সন্ন্যাস নিতে হবে।
তৃণমূলে থেকে তাঁর পক্ষে নীহাররঞ্জনের আধিপত্য মেনে নেওয়া কার্যত অসম্ভব। আর বার বার দলবদলের কারনে অন্য দলগুলিও তাঁকে নিতে ভরসা পাবে না। তাই আপাতত একাই লড়াইয়ের মাঠে নামতে হবে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে।