ইয়াস বিধ্বস্ত হিঙ্গলগঞ্জের পাশে শিক্ষক সংগঠন
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ভান্ডারখালিতে দুর্গতদের পাশে এবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা।
নিজেদের জমানো অর্থ দিয়ে প্রায় হাজার খানেক দুর্গত মানুষের হাতে নতুন শাড়ি, জামা, কাপড়, মশারি, টর্চলাইট, মাস্ক এবং স্যানিটারী নাপকিন, বাচ্চাদের জন্য দুধ, শুকনো খাবার ও বিস্কুট তাদের হাতে তুলে দিলেন।
তাদের এই অভিযান শুরু হয়েছে আজ থেকে। লাগাতার চলবে বলে জানিয়েছেন ওই সংগঠনের নেতৃত্বাধীন শিক্ষিকা রেহেনা খাতুন। তিনি জানান ইতিমধ্যেই এলাকাগুলিতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন রকম ভাবে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে এবং শুকনো খাবার দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে।
তাঁর কথায় প্রশাসন ইতিমধ্যেই দুর্নীতি রুখতে ড্রপবক্সের ব্যবস্থা করছ। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ অবশ্যই পাবেন। সেখানে যাতে কোনো দুর্নীতি না হয় তা তদন্ত করে দেখা হবে।
উল্লেখ্য আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। একাধিকবার কাঠ গড়ায় তোলেন শাসক দলের নেতাদের বিরোধীরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর অনেকেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার আগে থাকতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাবধান করে দিয়েছেন জেলার আধিকারিকদের। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ বিলির কাজে কোনরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না সরকার।
নদীর বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়িতে ঢুকছে নোনা জল। ছড়াতে পারে বিভিন্ন রোগ। তার উপর এখনো কোভিডের হাত থেকে মুক্তি মেলেনি। সেই আশঙ্কায় দিন গুনছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা।
এদিন তাদের হাতে প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াও পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বই খাতা কাগজপত্র সহ অন্যান্য বেশ কিছু জিনিস। পোকামাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য কার্বলিক অ্যাসিড সহ বিভিন্ন ওষুধপত্র দেওয়া হয়ছে। বেশি করে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষিকা রেহেনা খাতুনের কথায়, আমরা ভেবেছি একটু অন্যরকমভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এই মুহূর্তে ওদের যা অবস্থা তাতে বেঁচে থাকাটাই খুব কষ্টকর। আজ যতটা পারলাম ওদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলাম।
যতদিন পর্যন্ত হিঙ্গলগঞ্জের মানুষজন স্বাভাবিক ছন্দে না ফিরতে পারছেন ততদিন তারা মানুষের পাশে থেকে যাবেন বলে জানিয়েছেন।