শনিবার থেকেই প্রভাব খাটাবে যশ, উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমফানের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ঘূর্ণিঝড় বাংলায়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন হয়তো ঘূর্ণিঝড় যশ শক্তি বাড়িয়ে আমফানের থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে। আশঙ্কার প্রহর গুনছেন উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ।

ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে শুরু করেছে। আগামী তিনদিনের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শনিবার থেকে ভারী নিম্নচাপ তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে। যশ শক্তি বাড়িয়ে তা পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার দিকে দিয়ে আসবে।

আবহবিদেরা জানাচ্ছেন ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ড ফল হতে পারে আগামী বুধবার নাগাদ।চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকেই  তীব্র দাবদাহ গোটা রাজ্যে। মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার পর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শনিবার থেকে বাড়বে বৃষ্টির পরিমান।

ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সর্তকতা জারি করা হচ্ছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকেই নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে।

বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তাদের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ কুনালের

নবান্নের শীর্ষ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে উপকূলবর্তী সাইক্লোন সেন্টারগুলিকে এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে। পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল ও ওষুধ মজুদ রাখার নির্দেশ ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর আন্দামান এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে শনিবার নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই নিম্নচাপ 72 ঘণ্টার মধ্যে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, শংকরপুর সমুদ্রসৈকতে।

উল্লেখ্য 2009 সালের 25 শে মে আয়লায় লন্ডভন্ড হয়ে দিয়েছিল সুন্দরবন। 2020 সালের 21 মে আমফানের তান্ডবের স্মৃতি এখনো টাটকা। প্রলেপ পড়েনি সেই ক্ষতে। তারমধ্যে করোনা পরিস্থিতি। সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার।

এরই মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। যশের তাণ্ডবে আবার কোন বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে রাজ্যবাসী? শুরু হয়েছে তারই প্রহর গোনা।

সম্পর্কিত পোস্ট