ওমান ‘ইয়াস’-র ক্ষত উস্কে শক্তি বাড়িয়ে এগোচ্ছে পাকিস্তানি ‘গুলাব’, কেন এমন নামকরণ?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ইতিহাস পুরনো। এই নামকরণ কখনো ইংরেজি বর্ণ ধরে হয়। নামকরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মও মেনে চলা হয়। এমন নাম দেওয়া হয়, যা ছোট। সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।

যে দেশ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করবে, তার ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে নামের সঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-র ক্ষেত্রেও নামকরণের প্রেক্ষাপটে রয়েছে ইতিহাস এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামটি রেখেছে পাকিস্তান। এর মানে হল ‘গোলাপ ফুল’

মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগে পূর্ব পাকিস্তানে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল জোরালো এক ঘূর্ণিঝড়। কোনো নাম ছিল না তার। ভোলায় তাণ্ডব চালায় সেই ঝড়টি। জায়গার নামেই পরিচিত হয় সেই ঝড়টি।

১৯৯৯ সালে ওড়িশা তছনছ করে দেয় আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। যা পরিচিত পারাদ্বীপ সাইক্লোন নামে। কারণ ওড়িশার এই বন্দরেই আছড়ে পড়েছিল শক্তিশালী এই ঝড় ।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব, অবিলম্বে দীঘা পর্যটক শূন্যের নির্দেশ প্রশাসনের

প্রথম বার ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশ গুলিতে ঝড়ের নামকরণের প্রচলন শুরু হয়। সেই বছর তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম নামকরণ করেছিল বাংলাদেশ। নাম ছিল ‘অনিল’।

‘আমফান’ ঝড়ের নামকরণ করেছিল থাইল্যান্ড। আবার ‘ফণী’ ঝড়ের নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। ‘বুলবুল’ নাম ছিল পাকিস্তানের দেওয়া। ‘ইয়াসের’ নামকরণ করেছিল ওমান। সেই সময়ই পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-র নাম ঠিক করে রেখেছিল পাকিস্তান। সেই ‘গুলাব’-ই এবার ধেয়ে আসছে প্রবল বেগে।

সম্পর্কিত পোস্ট