মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাননীয়া কোম্পানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিতে পারেন বিজেপিতে তা করা যায় নাঃ শুভেন্দু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রামের সভায় দাঁড়িয়ে, একুশের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রাজনৈতিক মহলের একাংশ ব্যাখ্যা করেছিলেন, শুভেন্দু গড়ে গিয়ে মোক্ষম চাল দিয়েছেন মমতা।
অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলের তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের পর জেলায় দলীয় সংগঠনে যে সংকটের ছবি ধরা পড়েছিল তা হয়তো এবার কাটবে। উলটে তৃণমূল নেত্রীর সিদ্ধান্তে চাপে পড়লেন শুভেন্দু।
কিন্তু এদিন রাসবিহারীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পালটা ঘোষণা, দল তাঁকে অথবা যাঁকেই প্রার্থী করুন না কেন, নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাবেন শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘শুনে রাখুন মাননীয়া, আপনাকে যদি নন্দীগ্রামে হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারি রাজনীতিই ছেড়ে দেব’।
নন্দীগ্রামে প্রার্থী মমতাঃ জামানত বাজেয়াপ্ত করার হুঁশিয়ারী কনিষ্কর, “হারার আগেই হেরে গেছেন”মন্তব্য বৈশাখীর
এদিন সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়েছিলেন, তখন আবার তাঁর তাঁর দুর্গ দক্ষিণ কলকাতায় পাল্টা রোড শো করেন শুভেন্দু। তৃণমূলের খাসতালুক দক্ষিণ কলকাতায় টলিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে বিজেপি।
ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ দেবশ্রী চোধুরীরা। তৃণমূল নেত্রীর মাস্টারস্ট্রোকের পর এদিন নন্দীগ্রামের কথা তুলেই মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু। শঠে শাঠ্যংয়ের বার্তা দিয়েই শুভেন্দু বলেন, আমি একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ পার্টির সদস্য। আর তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। দেড় জনের পার্টি। তাই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাননীয়া কোম্পানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিতে পারেন। বিজেপিতে তা করা যায় না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নন্দীগ্রামে গত কয়েক বছরে বিশেষ যাননি তাও বাস্তব। এদিন রাসবিহারীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, মাননীয়া আপনি নন্দীগ্রামে সেই ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর শেষ বার গিয়েছিলেন।
পাঁচ বছর পর ভোটের আগে ফের নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে। মানুষ সব জানে। শুভেন্দু প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, আপনি নন্দীগ্রামের জন্য কী করেছেন? সিঙ্গুরে শিল্প বন্ধ করে দেওয়ার কথা অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে রয়েছে, নন্দীগ্রামের কথা এক লাইনও নেই।
তাঁর কথায়, এদিন সাতটা জেলা থেকে আটশো বাসে করে লোক এনেছিলেন। তাও মাঠ ভরাতে পারেননি। তাও যাঁরা ছিলেন তাঁরা সব ওই হায়দরাবাদের পার্টির লোক। নন্দীগ্রামের ভোলেনি যে অরুণ গুপ্ত নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিলেন তাঁকে ষাট বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর চার বার এক্সটেনশন দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অধিকারী পাড়ায় গুলি চালিয়েছিলেন, সেই পুলিশ অফিসারকে টেট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মহাসচিব দলে সামিল করিয়েছেন। নন্দীগ্রামের মানুষ এর জবাব দেবেই দেবে।