“এসি ঘরে বসে সোশ্যাল বার্তা দিলেই হবে না , কাজ করতে হবে”- অন্নপূর্ণার নবম দিনে বললেন অতনু প্রসাদ মিত্র
রাহুল গুপ্ত
“এসি ঘরে বসে সোশ্যাল বার্তা দিলেই হবে না , কাজ করতে হবে মানুষের পাশে গিয়ে , যা করছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী – কুর্নিশ জানাই তাঁকে “- অন্নপূর্ণার নবম দিনে বললেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের যুব র সাধারণ সম্পাদক অতনু প্রসাদ মিত্র।
অন্নপূর্ণা -র নবম দিনে খাদ্য দ্রব্য বন্টন করা হলো প্রায় ১৮৮০ জনকে। কলকাতা পৌরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে এই রান্না করা খাবার ও খাদ্য সামগ্রী দ্রব্য বন্টন হচ্ছে প্রতিদিনই।
এদিন প্রতিদিনের মতোই . নিজে উপস্থিত থাকলেন পেয়ারবাগান অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। বারবার সতর্ক করলেন সাধারণ মানুষ কে মাস্ক পড়ার জন্য , দূরত্ব বজায় রাখার জন্য। একদম জরুরি না হলে বেরোবেন না , বারবার সতর্ক করলেন সাধারণ মানুষকে।
এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন তরুন তুর্কি ভরত জানা , রাজীব যাদব।
মানুষের পাশে , সঙ্গে থেকে গত ১৬ই এপ্রিল থেকে রান্না করা খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হচ্ছে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্র পরিবারগুলোকে।
“করোনার উত্তর দেবোই , বাংলাই পারবে, রাজনীতি না করে সবাই এক হোন” অন্নপূর্ণার অষ্টম দিনে বার্তা অতনু প্রসাদ মিত্রের
এর আগে ৫ই এপ্রিল থেকে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী। অতনু প্রসাদ মিত্রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৪ হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী।
এদিন ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান অঞ্চলের প্রায় ১০ থেকে ১২ টি ক্লাবে পৌঁছে যাচ্ছে দুপুরের খাবার। খাবার দেওয়া হয় পদ্মপুকুর লেন সংলগ্ন অঞ্চলে, বেলতলা নিউ কিশোর সংঘ , বাটাম ক্লাব , ভাই ভাই সংঘ , দেশবন্ধু ক্লাব , মিত্র সংঘ ক্লাব , পেয়ারাবাগান সংলগ্ন ৪১ নম্বর , মাধব লেন , যতীন বয়েস ক্লাব ,পেয়ারাবাগান সংলগ্ন কালী মন্দির।
এদিন অতনু প্রসাদ মিত্র নিজে হাতে খাদ্য দ্রব্য প্রদান করলেন মানুষের কাছে। হাতে গ্লাভস , মুখে মাস্ক পরে এক খাদ্য দ্রব্য প্রদান করেন তিনি।
চালু ” অন্নপূর্ণা ” এর হেল্প লাইন দুটি নম্বর। নম্বর দুটি হলো – ৮২৪০২ ৩৮৭০৭ এবং ৯৮৩০৮০৬৯১৫। কেউ খাবার না পেলে সরাসরি ফোন করছেন এই নম্বরে সেক্ষেত্রে খাবার একেবারে পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় , সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অতনু প্রসাদ মিত্রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ” অন্নপূর্ণা “। কলকাতা পুরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন অঞ্চলে এই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ঘরে ঘরে।
যারা করোনা গ্রাসে পরিস্থিতির স্বীকার যাদের অবস্থা খুব দুর্বিসহ , যারা দিন আনে দিন খায় তারাই এই সুবিধার আওতায় পড়ছেন।