সাদা রুমালে মুখ ঢেকে বারুইপুর আদালতে আরাবুল – ‘তাজা নেতা’র ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
সাদা রুমালে মুখ ঢেকে বারুইপুর আদালতে আরাবুল। তৃণমূল নেতাকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ বারুইপুর আদালতের। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে আরাবুল ইসলামের , এমন আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতার আইনজীবী। এদিন শুনানিপর্বে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চান সরকার পক্ষের আইনজীবী। অন্য অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে এবং এই ঘটনায় ব্যবহার হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য আরাবুলকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
আরাবুল কীভাবে এই ঘটনায় যুক্ত তার পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে কেস ডায়েরিতে, জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী। তাতে অবশ্য আমল দেননি বিচারক। বারুইপুর আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতই ‘তাজা নেতা’ আরাবুলের ১২ দিনের ঠিকানা। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দাবি, ”শুধু আরাবুল নয়, গ্রেপ্তার করা হোক শওকত মোল্লাকে।” সরব সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, ”আরাবুলের কাজ ফুরিয়েছে বলেই গ্রেপ্তার করানো হয়েছে।” বিজেপির দিলীপ ঘোষও তোপ দেগেছেন শাসকদলকে।
ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার পর এই প্রথম কোনও বড় রাজনৈতিক গ্রেফতারি। ভাঙড়ে শাসকশিবিরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হিসাবেই আরাবুল ইসলামকে সকলে চেনেন। যদিও এদিন যেভাবে আরাবুলকে আদালতে তোলা হল, কেউ দেখে চিনতেই পারবেন না। একেবারে সাদা কাপড়ে শক্ত করে বাঁধা মুখ। কেউ কেউ বলছেন, মুখ লুকোচ্ছেন ‘তাজা নেতা’। প্রশাসন যে রাজধর্ম পালন করছে সেকথাও মনে করিয়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ভাঙড়ের কাশীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল নেতাকে।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। এর পর তৃণমূল নেতাকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তি, মনোনয়নে বাধা দেওয়া, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হন আরাবুল ইসলাম।