হাউসের রিপোর্টে বেকায়দায় ট্রাম্প এবার পালা কংগ্রেসে
দুদিন ব্যাপি ন্যাটোর শীর্ষ বৈঠকে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । চিনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের খেলায় বেগ পেতে হচ্ছে তাকে ।
এদিকে দেশের মাটিতে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের তদন্তের রিপোর্ট পেশ করে হাউসের ইনটেলিজেন্স কমিটি ।
ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গে বেকায়দায় ডোনাল্ড ট্রাম্প
সেখানে উল্লেখ রয়েছে, প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার মতো যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে হাউসের সদস্যদের হাতে ।
‘ট্রাম্প-ইউক্রেন ইমপিচমেন্ট তদন্ত রিপোর্ট’-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে, জাতীয় স্বার্থের থেকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন ট্রাম্প ।
এমনকি ২০২০-র ভোটে ফের হোয়াইট হাউসের গদিতে ফিরতে চেয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউক্রেনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ট্রাম্প ।
আরও পড়ুন : ব্রিকসের মঞ্চে সরব মোদি,অর্থনীতির ক্ষতির কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন সন্ত্রাসবাদকে
যদিও ৩০০ পাতার রিপোর্টে প্রেসিডেন্টকে সরাসরি ইমপিচ করার ব্যাপারে জোরালো সওয়াল করেনি হাউস কমিটি ।
প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলেছে হাউস কমিটি ।
তবে শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হাউসের ইনটেলিজেন্স কমিটির তদন্তকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে আসছেন ট্রাম্প ।
কারণ, ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস ভোটের আগে যে কোনো প্রকারে বিপাকে ফেলতে চাইবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ।
ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউসের রিপোর্টে বেকায়দায় ডোনাল্ড ট্রাম্প
আখেরে হল সেটাই । ডেমোক্র্যাটরা কমিটির ৩০০ পাতার রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই ভোটের আগেই ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন।
শুনানির রিপোর্ট এ বার হাউসের বিচার বিভাগীয় কমিটির কাছে যাবে । সূত্রের খবর, বুধবার রিপোর্ট নিয়ে কাজ শুরু করবে ওই কমিটি ।
যাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইমপিচমেন্ট অভিযোগ আনা যায় । বড়দিনের আগেই প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা নিয়ে ভোটাভুটি সেরে ফেলতে চাইছে হাউস ।
কিন্তু তার পরে বিষয়টি রিপালিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনেটে যাওয়ার কথা । তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পকে সরানো আদৌ সম্ভব নয় ।
আরও পড়ুন : শুরু হল ট্রাম্পের ইম্পিচমেন্ট তদন্তের শুনানি, সরাসরি সম্প্রচার টিভিতে
আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনশো পাতার রিপোর্টের গভার প্রভাব পড়বে দেসবাসীর উপর । তা মোটামুটি নিশ্চিত মনে করছেন অনেকেই ।
হাউসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট যে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউক্রেনকে অনৈতিক চাপ দিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করাতে চেয়েছিলেন, তা প্রমাণিত ।’’
হোয়াইট হাউস অবশ্য এ দিনও ডোমোক্র্যাট গরিষ্ঠ তদন্তের রিপোর্টকে একতরফা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে ।