‘প্রতীকি’ শাহী স্নান ! কুম্ভমেলায় অংশ নিলেন ২৫ হাজার পুণ্যার্থী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ 27 এপ্রিল দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার হয়ে গিয়েছে সাড়ে 3 লক্ষের বেশি। আর সেদিনই মঙ্গলবার, কুম্ভমেলায় শাহী স্নানের জমায়েত দেখে চক্ষুচড়কগাছ উঠল সকলেরই। শাহী স্নানের তিনদিন আগে জমায়েত হয়েছিলেন প্রায় 25 হাজার পুণ্যার্থী এবং 1350 জন সাধুসন্ত।
প্রশাসনের দাবি মোট পুণ্যার্থীর 1% অংশ নিয়েছেন শাহী স্নানে। ছবি সামনে আসতেই দেশজুড়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সরকারের ভূমিকা নিয়েও।
এরপরেই হরিদ্বার জেলা প্রশাসনের তরফে মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকে আগামী 3 মে সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। এর আগে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জেরে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে কুম্ভ মেলা নিয়ে। প্রায় 2 হাজার জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এই কুম্ভ মেলা থেকে।
দিল্লি প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কুম্ভ মেলায় যেসব পুণ্যার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন দিল্লি প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ঢুকতে হবে। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে সাধুসন্তদের উদ্দেশ্যে এবারের কুম্ভ মেলা প্রতীকী উদযাপন করার আবেদন করেন। তাতে সাড়া দেন জুনা আখড়া সাধু-সন্তরা। তবে মঙ্গলবার এর চিত্র কিন্তু অন্য কথাই বলল।
করোনাকালে ফের আতঙ্ক ধরাল ভূমিকম্প, মৃদু কম্পন কলকাতাতেও
হরিদ্বার জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনের পর মুখ্যমন্ত্রী বারবার তদারকি করছিলেন জমায়েত এড়ানোর জন্য। এ নিয়ে সাধুসন্তদের আখড়া গুলির সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক হয়।
উল্লেখযোগ্য এদিনের শাহী স্থানে অংশ নিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। তাদের দাবি এটা প্রতীকী স্নান।গত 11 ই মার্চ শাহী স্নানে পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষাধিক। 27 মার্চ প্রায় লক্ষাধিক পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন। তবে তৃতীয় শাহী স্নানে 14 ই এপ্রিল সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে দাবি করেন তারা।