J&K Encounter: বছর শেষেও এনকাউন্টার উপত্যকায়, খতম ৩ জইশ জঙ্গি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাতভর গুলির শব্দে জেরবার শ্রীনগর। বছর শেষের আগে জঙ্গি দমনে ফের বড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। শুক্রবার ভোররাতে গুলিতে খতম হয়েছে তিন জঙ্গি। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া এনকাউন্টারে খতম জঙ্গিদের মধ্যে একজন জইশ-ই-মহাম্মদের সদস্য বলে জানা গেছে। মৃত জঙ্গির নাম সুহেল আহমেদ রাথার। এনকাউন্টারে জখম হয়েছেন তিন পুলিশকর্মী এবং এক সিআরপিএফ জওয়ানও।
চলতি মাসের শুরুতেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। এই ঘটনায় তিন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। ১১ জন আহত হয়েছিলেন। শুক্রবার রাতের এনকাউন্টারে ওই হামলার অন্যতম চক্রীকে খতম করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার টুইট করে জানান, ‘তিনজন জঙ্গি মারা গিয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা জাতীয় জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে৷ তল্লাশি চলছে৷’ পরে মৃত জইশ জঙ্গির পরিচয় প্রকাশ করে আরও একটি টুইঠ করা হয় কাশ্মীর পুলিশের তরফে।
জানা যায়, গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, পন্থাচকের গোমান্দর মহল্লায় রয়েছে জঙ্গিরা৷ পুলিশ ও আধাসেনার সঙ্গে মিলে অভিযান চালায় সেখানে। জায়গাটি ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনীর জওয়ানরা। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান৷ তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী বাড়িটির ভিতরে ঢোকে৷
Omicron: কলকাতা থেকে ব্রিটেনের সরাসরি উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন
সেই সময় জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলির লড়াই চলাকালীন তিনজন পুলিশ কর্মী এবং এক সিআরপিএফ জওয়ান জখম হন৷ চিকিৎসার জন্য তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
প্রসঙ্গত ৩৬ ঘন্টায় এই নিয়ে তিনটি এনকাউন্টার হল উপত্যকায়। বুধবার বিকেলে অনন্তনাগ এবং কুলগ্রামে এনকাউন্টার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। যৌথ অভিযানে দুই পাকিস্তানি নাগরিক সহ মোট ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেলেও বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত জঙ্গিদের সকলেই জইশ-ই-মহাম্মদের সদস্য।