রাজ্যপাল পাহাড়মুখী হতেই বিনয়-অনিতকে নবান্নে ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পাহাড়ে আবার আগুনে জ্বলুক চান না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই দিতে মুখ্যমন্ত্রী চাল মমতার। বিজেপির পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিতে নবান্নে ডেকে পাঠালেন বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে।
আগামী ৩ নভেম্বর এই জুটির নবান্নে এসে পাহাড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছে যে বিনয় তামাং ও বিনয় থাপাকে পাহাড়ের প্রশাসক হিসাবে রেখে রাজনৈতিক ভাবে বিমল গুরুং ও রোশন গিরির প্রত্যাবর্তনের রাস্তা খুলে দিতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো।
সেক্ষেত্রে ৩ তারিখ বা তারপরে বিনয়-অনিত জুটির পাশাপাশি গুরুং-গিরিকে নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যেকার বিবাদের মীমাংসা যেমন হয়ে যাবে তেমনি বিজেপির পরিকল্পনাতেও জল ঢেলে দেওয়া যাবে। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর এই মাস্টারস্ট্রোকে পাহাড় নিয়ে বিজেপির হাতে আর কিছু থাকছে না।
আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যেই রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। গুরুং ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন মোর্চা সেই নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করবে ও তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়েই লড়াই করবে। কিন্তু গুরুংয়ের পাহাড়ে প্রত্যাবর্তনের পথে কাঁটা হয়ে উঠছিলেন বিনয় তামাং ও অনিত থাপারা। কারণ গুরুং পাহাড়ে ফিরলে তাঁদের ক্ষমতা হারাবার ভয় দেখা দিয়েছে। সে জায়গা থেকেই তাঁরা বিমল গুরুং প্রত্যাবর্তন নিয়ে ভয় পাচ্ছেন।
তাই বিষয়টিকে আর ফেলে রাখতে চাইছেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন তিনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, এমনটা করতে পারলেই বিজেপির সমস্ত প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেওয়া সম্ভব হবে। বিজেপি পাহাড়ে যেভাবে নতুন করে অশান্তির চেষ্টা করছে তাও বিফল হবে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/jagdeep-dhankar-at-northbengal-tmc-vss-bjp-clash-about-gorkhaland-iisue/
ঘটনাচক্রে এদিনই পাহাড়মুখী হয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি প্রায় ১ মাস থাকবেন। এদিনই জানা গিয়েছে রাজ্যপাল বিনয় তামাং আর অনিত থাপার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। কিন্তু তার আগেই মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে বসলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যা সামলাতে এখন বিজেপির নাজেহাল দশা হচ্ছে।
নবান্নে সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজেই অনিত থাপাকে ফোন করে কথা বলেন। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয় পাহাড়ে তামাং ও থাপা প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে যেমন আছেন তেমনই থাকবেন। গুরুং-গিরির পাহাড়ে প্রত্যাবর্তন হলেও ক্ষমতার অলিন্দে কোনও পরিবর্তন ঘটবে না। তবে মোর্চার রাজনৈতিক বিষয়টি গুরুং-গিরি দেখবেন।
শোনা যাচ্ছে ক্ষমতা ও রাজনীতির এই ভারসাম্য সূত্রে গুরুং-গিরি রাজি আছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে আগামী ৩ নভেম্বর নবান্নে আসছেন তামাং ও অনিত। সেখানে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হবে মুখ্যমন্ত্রীর। সেই বৈঠকে থাকতে পারেন গুরুং-গিরিও। এখন দেখার তাতে আদেও কোন সমাধান সূত্র বের হয় কি না!