দশ শতাংশ নয়,সামাজিক দূরত্ব ও কোভিড প্রটোকল মেনে পর্যাপ্ত ট্রেন চালাতে প্রস্তুত রাজ্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দশ শতাংশ নয়, সামাজিক দূরত্ব ও কোভিড প্রটোকল মানতে হলে বেশি ট্রেন চালাতে হবে। রাজ্য সরকার রেলকে সব রকমভাবে সাহায্য করবে। মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে রেলকে দেওয়া চিঠিতেই এমনই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার নবান্নে রেল ও রাজ্য সরকারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। তাতে রেল জানিয়েছে, তারা আপাতত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ট্রেন চালাতে রাজি। ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে ট্রেনের সংখ্যা। সেই বৈঠকের পর ফের মঙ্গলবার রেলকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
ওই চিঠিতে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হলে ১০ শতাংশ ট্রেন চালালে হবে না। এর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন চালাতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে হাওড়া স্টেশন চত্বর। রেলের কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনে তাঁদেরও উঠতে দিতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন সাধারণ যাত্রীরা। এ নিয়ে রেল পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। স্টেশন চত্বরে প্রবেশে বাধা দিলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যাত্রীরা। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
রেল-পুলিশ ও আরপিএফ-এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মারধরের অভিযোগও উঠে। যাত্রীদের অভিযোগ, সড়কপথে কর্মস্থলে পৌঁছতে অনেক সময় লাগছে। বেশি খরচ করার পরেও তাঁরা হয়রান হচ্ছেন।
এ নিয়ে সোমবার নবান্নে বৈঠকও হয়। তাতে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়েছে রেল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের ৫ তারিখ বৃহস্পতিবার বৈঠক হবে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-meeting-with-the-chief-minister-was-fruitful-said-binoy-tamang/
শনিবারের পর ফের রাজ্যের তরফে ট্রেন চালানো জন্য রেলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। এ দিকে, বুধবার দুপুরে নবান্নে বৈঠকে বসছেন রেল ও রাজ্যের শীর্ষাধিকারিকরা। বৈঠকে থাকবেন হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম, রেলের চিফ অপারেশনাল ম্যানেজার, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও পরিবহণ সচিব।
রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, যথেষ্ট সংখ্যক ট্রেন চালাতে অনুরোধ করছে সরকার। ট্রেন চালাতে গিয়ে কীভাবে সাহায্য প্রয়োজন, রাজ্য সরকারকে রেল জানাক। সেইভাবেই প্রশাসন রেলকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনা প্রটোকল মানা থেকে সবেতেই রাজ্যের তরফে রেলকে সাহায্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। রেলের কী ধরনের পুলিশি সাহায্য প্রয়োজন, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে রাজ্য প্রশাসন।