নেতাজির কায়দায় কোণঠাসার চেষ্টা ‘বাঙালি’ মমতাকেঃ ব্রাত্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির ‘বহিরাগত’ ব্রিগেড মূলত বাঙালি রাজনীতিকদের ওপর কতৃত্ব করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল। আর তাই উত্তর ও পশ্চিম ভারত থেকে অবাঙালিদের বাঙালিকে শাসন করতে বাংলায় পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবার এই অভিযোগ করেছেন দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদাহরণ টেনে ব্রাত্যের বক্তব্য— নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে যে ভাবে কোণঠাসা করা হয়েছিল, সে ভাবেই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে সাবধানী ব্রাত্য এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, নেতাজির সঙ্গে তিনি মমতার ‘তুলনা’ করছেন না। ‘উদাহরণ’ দিচ্ছেন মাত্র।
এদিন তৃণমূলের আক্রমণের যাবতীয় অভিমুখ ছিল বিধানসভা ভোটের জন্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিযুক্ত পাঁচ নেতার প্রতি। জন্ম এবং কর্মসূত্রে যাঁরা অবাঙালি।এদের উদ্দেশ্যে এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, বহিরাগত কর্তৃক বাংলাকে আক্রমণ করা হচ্ছে।
বাংলাকে না বোঝা, বাংলার সংস্কৃতি না বোঝা, বাংলার নাড়ি না বোঝা কিছু লোক বাংলায় ঘোরাঘুরি করছেন। এই বহিরাগত তাণ্ডব বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙারই একটা পরের ধাপ।
পাশাপাশিই ব্রাত্য বলেছেন, ”আরএসএসের প্রধান পদে তো কোনওদিন কোনও বাঙালিকে বসানো হয়নি! হয় তেলুগু ব্রাহ্মণ বা মরাঠি ব্রাহ্মণকে বসানো হয়েছে ওই পদে।
এদিন বিজেপির মতুয়া প্রেমকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রীসভায় ছিলেন মতুয়া ঠাকুরবাড়ির এক সদস্য। ১৯-এর ভোটে জিতে মতুয়াদের জন্য লি করেছে বিজেপি। কেন মতুয়াদের থেকে কোনও মন্ত্রী করা হল না। তাঁর কথায়, রাম মন্দিরের আশেপাশে ১৮টি মন্দির রয়েছে।
মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দির তো সেখানে নেই! ব্রাত্যর মতে, অবাঙালিরা বা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের মানুষকে বাংলা চিরকাল স্বাগতই জানায়। কিন্তু এখন যা হচ্ছে, তা বাঙালিকে ‘নিয়ন্ত্রণ করা এবং কোণঠাসা করার চেষ্টা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/amit-shah-and-narendra-modi-meet-for-national-security/
সে প্রসঙ্গেই নেতাজির উদাহরণ দিয়ে ব্রাত্য বলেন, যে ভাবে অবাঙালিদের দিয়ে সুভাষ বসুকে কোনঠাসা করা হয়েছিল, সেই একই ভাবে উত্তর ও পশ্চিম ভারত থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ন্ত্রণ করতে। বাংলার মানুষ কি এটা মেনে নেবেন? নেতাজিকে যে ভাবে কংগ্রেস ছাড়তে হয়েছিল, নেতাজির অন্তর্ধানের পাঁচ দশক পর মমতাকেও সে ভাবে কংগ্রেস ছাড়তে হয়েছিল বলে ব্রাত্য মন্তব্য করেন।
তাঁর কথায়, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সুভাষ বসুর মতোই নিজস্ব আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেছিলেন। যার নাম তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে ব্রাত্য বসু বলেন, আমাদের মাথার উপর অন্য রাজ্যের নেতারা এসে বসবেন, শাসন করবেন আর বলবেন রবীন্দ্রনাথের জন্ম বোলপুরে! আদিবাসী নেতার গলায় মালা দিয়ে বলবেন বিরসা মুণ্ডার গলায় মালা দিয়েছেন! এগুলো মেনে নেওয়া হবে না।