শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ফিরে এলেন ‘মৃত’! কোভিড তথ্য বিভ্রাট মানতে নারাজ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তদন্তের দাবি ডাঃ শান্তনু সেনের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাখে হরি মারে কে! শিবদাস বন্দ্যেপাধ্যায় ও মোহিনীমোহন গোস্বামীর রিপোর্ট বিভ্রাটের ঘটনা কার্যত সেটাই প্রমাণ করল। একদিকে বিষয়টি যেমন গুরুতর। তেমনি বিষয়টি চরম মর্মান্তিকও বটে। একটি রিপোর্ট বিভ্রাটের ঘটনা মুহুর্তের মধ্যে দুটি পরিবারের বাস্তব পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।
যদিও এতক্ষণে বিষয়টি সকলেই জেনে গিয়েছেন। ঘটনাটির সূত্রপাত ৩ নভেম্বর। ওই দিনই করোনা আক্রান্ত হয়ে খড়দার বলরাম বসু সেবামন্দির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন বিরাটির বাসিন্দা শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও খড়দার বাসিন্দা মোহিনীমোহন গোস্বামী। তাদের নথিপত্র অদলবদলে চিকিতসা চলতে থাকে।
এদিকে শিবদাস বাবু সুস্থ হয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি মোহিনীমোহন বাবুর। যেমন বিরাটিতে আনন্দ উতসবের পালা। তেমনি খড়দহে কান্নার রোল।
আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী হাসপাতাল। যাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এর থেকে আনন্দের কিছু হতে পারে না।
তাহলে তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিরোধীরা যা বলছেন তাহলে সত্যি তো? চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উত্তর, বিরোধীদের কথা নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না। তদন্ত করা হচ্ছে গোটা বিষয়টির। প্রশাসন তাদের নিজস্ব কাজ করবে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/three-maoist-leader-in-bihar-by-bihar-police-and-cobra/
বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনের সঙ্গেও। তিনি বলছেন এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক ঘটনা। বোধহয় এর থেকে অমানবিক আর কিছু হতে পারেনা। আমি দুই পরিবারকেই অনুরোধ করব, ওয়েস্টবেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরী কমিশনে তারা যেন অভিযোগ জানান। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ, অভিযোগের ভিত্তিতে যেন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হয়। যে প্রাইভেট হসপিটাল এটা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এদিন যিনি মারা গিয়েছিলেন ভেবে পরিবারের লোকজন শ্রাদ্ধ-শান্তির ব্যবস্থা করেছিলেন তার দীর্ঘ সুস্থতা কামনা করি।
তবে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য যে চাপ দেওয়া হচ্ছিল উভয় পরিবারকে তা তিনি খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে গণতন্ত্র সু-প্রতিষ্ঠত। প্রত্যেক অপরাধী এখানে সাজা পায়।তাই কোনো ভয়ের কাছে মাথা নত না করে নৈতিকতার দিক থেকে তাদের উচিত বিষয়টি নিয়ে যথাযথ জায়গায় অভিযোগ জানানো। যাতে আগামীদিনে এই ঘটনা অন্য কারোর সঙ্গে না ঘটে।
ডাঃ শান্তনু সেন আরও বলেন, ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে কোভিডের চিকিতসা হচ্ছে। মানুষের স্বার্থে একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত তিনি গ্রহণ করেছেন যাতে মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়। কোভিড মোকাবিলায় সরকার যখন এত কিছু করছে তখন একজন বা দুজনের গাফিলতিতে গোটা সিস্টেমে আঙুল তোলা হবে সেটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। তাই চাই প্রশাসন তদন্ত করে সত্যের উদঘাটন করুন।