কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলোচনায় বিক্ষুব্ধ কৃষক সংগঠনগুলি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নয়া তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি জুড়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। রবিবার চার দিনের মাথায় পড়ল আন্দোলন। এর মধ্যে শনিবার কৃষকদের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শর্ত সাপেক্ষে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে রাজি কৃষকরা? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। রবিবার এনিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষক সংগঠনগুলি।
পাঞ্জাব কৃষক ইউনিয়নের সভাপতি রুলদু সিং জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে কোন কোন ইস্যু তুলে ধরা হবে সেই নিয়েই আলোচনা হবে এদিনের বৈঠকে। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি। কৃষি আইনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলে প্রত্যাহারের বিষয়েও আলোচনা করতে চান তাঁরা। যদিও আলোচনার প্রাথমিক স্তরে নয়া কৃষি আইনের প্রত্যাহার নিয়েই আলোচনা করবেন তাঁরা। কেন্দ্র রাজি না হলে এমএসপি নিয়ে আলোচনা করবেন কৃষকরা।
কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকার তৈরি। শনিবার একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় সরকার। যদি সরকারের সঙ্গে তাঁরা বৈঠকে বসতে রাজি হন তাহলে সরকার অনুমোদিত জায়গায় তাঁদের আন্দোলন স্থানাতরিত করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছে পাঞ্জাবঃ মনোহর লাল খট্টর
রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নয়া কৃষকদের জন্য আগামী দিনে নতুন করে দরজা খুলে দেবে। বহুদিন ধরে কৃষকদের যে চাহিদা ছিল তা কোনও রাজনৈতিক দল পূরণ করেনি। নয়া আইন সেই চাহিদা পুরন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে চার দিনের পরেও বেড়ে চলেছে কৃষক আন্দোলনের সমর্থন। উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গা থেকে জমায়েত হচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলি। অন্যদিকে লং মার্চ করে দিল্লির বাইরে হরিয়ানা, পাঞ্জাব সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। শনিবার কৃষকদের আন্দোলন বুয়ারি ময়দানে স্থানান্তরিত করার কথা ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁদের আন্দোলনে দিল্লি পুলিশ সমস্ত রকমের সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস জানিয়েছেন তিনি।
পাল্টা সাঙ্ঘু বর্ডার থেকে আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি নন কৃষকরা। তাঁদের দাবী, ব্যুয়ারি ময়দানে জেলখানার মতো তাঁদেরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ভারতীয় কিশান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ তিকায়িত জানিয়েছেন, রামলীলা ময়দানে আন্দোলন চলছে তাহলে আমাদেরকে নিরঙ্করি ভবনে কেন যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। রবিবার অবধি সাঙ্ঘু বর্ডারে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সংসদে নয়া কৃষক আইন পাশের পর থেকেই আন্দোলনে শামিল হন কৃষকরা। নতুন আইন প্রত্যাহারের দাবীতে সরব হন তাঁরা। নতুন আইন এনে কৃষকদের ভবিষ্যত কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
রাজধানীতে পাহাড় প্রমাণ কৃষকদের আন্দোলনের ইতি টানতে রাজি হবে কেন্দ্র? মেনে নেওয়া হবে কৃষকদের দাবী? নাকি আন্দোলনে অনড় থাকবেন কৃষকরা?