দল ছাড়লেও বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না শীলভদ্র দত্ত, ধোঁয়াশা বিজেপি যোগ নিয়ে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছিল মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের। এবার বিজেপি জল্পনার জিইয়ে রেখে দল ছাড়লেন ব্যারাকপুরের বর্ষীয়ান বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত।

তবে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেও ছাড়ছেন না বিধায়ক পদ। শুভেন্দু-জিতেন্দ্র-শ্যামাপ্রসাদের পর এবার তালিকায় শীলভদ্র দত্ত।

দল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীলভদ্র দত্তের অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরে যায়। বিবেকানন্দের ছবি লাগানো হয় সেখানে। পিছনে গেরুয়া রং। যা নিয়ে তোলপাড় শিল্পাঞ্চল এর রাজনৈতিক মহল।

শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সখ্যতা রয়েছে বলেই জানা গেছে। শীলভদ্র দত্ত সমর্থন করেছিলেন মিহির গোস্বামীর বিজেপি যোগ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ একের পর এক পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কে।

পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন আগেই ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে আর প্রার্থী হতে চান না। তবে কেন দল ছাড়লেন শীলভদ্র দত্ত সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। শুধু এটুকুই জানিয়েছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তিনি মানানসই নয়। তাই নিজে থেকেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন।

বৃহস্পতিবারই শীলভদ্র দত্ত তার ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আজ সকালে শীলভদ্র দত্ত এক সমর্থক তা পৌঁছে দিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

একের পর এক বিধায়কদের ইস্তফা এবং দলত্যাগ রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তৈরি করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতদিন ধরে যারা বিজেপির বিরোধিতা করেছেন চরমভাবে আজ তারাই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে সেখানেই।

এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাদের বক্তব্য এতদিন ধরে যাদের হাতে মার খেতে হয়েছে, কোন কাজ করতে দেননি সেই তৃণমূলীরা আজ বিজেপিতে যোগ দেবেন ! কোনভাবেই একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন অনেক বিজেপি কর্মীরা। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কাদের কাদের দলে ঠাঁই দেয় গেরুয়া শিবির।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shyam-mukherjee-joins-bjp/

গত মাসখানেক ধরেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করছিলেন শীলভদ্র। ফিরিয়ে দেন ভোট কুশলী পিকের টিমকেও। বেশ কয়েকবার কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গে।

শীলভদ্রের মানভঞ্জনে তাঁর বাড়িতে পৌঁছেছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। কিন্তু বিধায়কের দেখা পাননি।

গত লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাওয়াড়ি ফল অনুযায়ী, ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫১৯ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি।

মুকুল রায় তৃণমূলে থাকাকালীন তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন শীলভদ্র দত্ত। শেষ অবধি তিনি দলবদল করলে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের কাছে অস্বস্তির হতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

সম্পর্কিত পোস্ট