শুভেন্দু ঝড়ে বেসামাল ঘাসফুল, উত্তর থেকে দক্ষিণ বিজেপি যোগের হিড়িক সর্বত্র

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের অন্দরে ভাঙ্গন অব্যাহত শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পর বিভিন্ন জেলা থেকে অনেকেই বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার দিনভর চলে দলবদলের নাটক।

শুক্রবার সকালে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম ইস্তফা দিয়েছেন পদ থেকে। তিনি জানিয়েছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং পিকের প্রতি ক্ষোভের থেকেই তার এই সিদ্ধান্ত। আগামী দিনে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই থাকবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

এইখবর সামনে আসতে না আসতেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুরে ৫০ জন তৃণমূলের সংখ্যালঘু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে। তাদের দাবি এতদিন তৃণমূল উন্নয়ন করেনি। কেন্দ্র সকলের জন্য কাজ করছে। তাই আগামী দিনে মানুষের জন্য কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানালেন তারা।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/central-govt-provides-z-category-security-to-suvendu-adhikari/

বনগাঁর রতন ঘোষের পর হাসনাবাদের ফিরোজ কামাল গাজী ওরফে বাবু মাস্টার উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধক্ষ্যের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। তার অভিযোগ তিনি অসম্মানিত হচ্ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। জানিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। মেলেনি সুরাহা । অগত্যা পদত্যাগ করতেই হল।

বাবু মাস্টারের আরও অভিযোগ, নুসরাত জাহান হাসনাবাদ বিধানসভা এলাকা থেকে জয়ী হওয়ার পর তিনি ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছিলেন। সন্দেশখালি গণহত্যা কান্ডে তার নাম জড়িয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় পাঁচটি মামলা। তবে সবকটি মিথ্যে বলে দাবি করেছেন বাবু মাস্টার।

তাঁর আরও দাবি দল তাকে এই বিষয়ে কোনরকম সাহায্য করেনি। তাই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি বললেন তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছি। আগামী দিনে বিজেপির হয়েই কাজ করব।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে এইভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক দেখা গিয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের সময় এবং তার পরবর্তী কালে। অনেকে আবার ঘরওয়াপসিও হয়েছিলেন। এই দলবদলের সময়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল নেতৃত্ব।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shilvodro-dutta-resignnation-from-trinomul-cogress/

ফিরহাদ হাকিম এবং কুনাল ঘোষ একযোগে বলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের ভয় দেখিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তাদের ক্যারিশ্মায় বাংলা জয় করবে তারা, এই ভাবনা নিয়েই এগোচ্ছে বিজেপি। যা কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। কারণ জনগণ সবকিছু দেখছে।

পাল্টা দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেছেন বিজেপিতে আসার জন্য যারা ইতিমধ্যেই নাম লেখাতে শুরু করেছেন তাদের দেখে দেখে যোগদান করানো হবে। ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পৌর প্রশাসক এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। একই সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা সরব হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপি যোগদানের প্রসঙ্গেও।

সম্পর্কিত পোস্ট