আর নয় রাজনৈতিক সঙ্কট, শান্তি চাইছে পাহাড়বাসী

নয়ন রায়

রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার দু’দিনের দার্জিলিং সফর। ২০১৭ এর পর এই প্রথমবার পাহাড়ে ফিরলেন বিমল গুরুং। চকবাজারের প্রথম জসভা থেকেই বিজেপিকে হুংকার দিলেন। আর বুঝিয়ে দিলেন মমতার পাশে রয়েছেন।

ডিসেম্বরের সকাল থেকেই পাহাড়ে ছিল টানটান উত্তেজনা। হাওয়ায় শিরশিরানি ভাব ছিল। ২০ তারিখ সকাল থেকেই চলল বিমল গুরুংয়ের পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং অনিত থাপাদের নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা। দোকান পাট সব বন্ধ ছিল। চকবাজারের নিস্তব্ধতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

দার্জিলিংয়ের সমস্ত সংবাদপত্র জুড়ে নেপালের সংবাদ। নেপালের সরকার ক্ষমতার আসন থেকে সরে গেছে। একদিকে তিস্তা এবং অন্যদিকে মেছি নদী। নেপাল এবং দার্জিলিংয়ের সাংস্কৃতিক ভাবনা একই। ২১ ডিসেম্বর শীতের সকালে চকবাজারে চলছিল ফিসফাস । বিমল ফিরবেন তাঁর পুরনো ফর্মে। অন্তত দুই দিনের দার্জিলিংয়ের ঝকঝকে আকাশ তাই-ই বলছিল।

দার্জিলিং থেকে ফেরার পথে সহকর্মী অতনু হালদারের আলোচনায় উঠে এল একটাই প্রশ্ন। পাহাড় আবার উত্তপ্ত হবে না তো? কি জানি? কারণ ২১ এর নির্বাচনের আগে পাহাড়ে বিমলের প্রত্যাবর্তনে বেশ উত্তপ্ত ছিল পাহাড়।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/atk-mohunbagan-won-against-bangaluru-fc-by-david-williams-goal/

সাধারণ মানুষের ভয়, ২০১৩ অথবা ২০১৭ এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তো? সেই সুভাষ ঘিশিংয়ের আমল থেকে চলছেই ক্ষমতা দখলের লড়াই। মদন তামাং হত্যা। এখন ইতিহাস। তবুও গোর্খাল্যান্ডের দাবী থেকে সরে আসেননি পাহড়বাসী। ৪০ এর দশক থেকে বারবার রক্তপাতের সাক্ষী থেকেছে পাহাড়ের মানুষ। সমস্ত কিছুকে সঙ্গে নিয়েই তাঁদের জীবন অতিবাহিত হয়েছে। তাই নতুন করে উত্তপ্ত না হয়। সেই আশঙ্কাই করছেন তাঁরা।

কারণ গোটা করোনাকালে মানুষ সমস্যা নিয়েই কাটিয়েছে। দারুণভাবে মার খেয়েছে পর্যটন। তাই নতুন করে রাজনৈতিক সংকট চাইছেন না কেউই।

দার্জিলিং থেকে ফেরার পথে কাট রোড দিয়ে না এসে পাংখাবাড়ির রুটে এলাম। বাঁকে বাঁকেবিপদের হাতছানি। তবুও যেন প্রকৃতির রূপ ফুটে উঠছিল। আমরা ভাবছিলাম অতীতের মতো রাজনৈতিক সংকট না হয়।গাড়ির ড্রাইভার থেকে চায়ের দোকান সবাই বলছে আমরা শান্তি চাই।

সম্পর্কিত পোস্ট