জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গুপকর জোট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তকমা পাওয়ার পর এই প্রথমবার জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনী ফলাফলের ঘোষণা। সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে ফারুক আবদুল্লাহ নেতৃত্বাধীন গুপকর (পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লায়েরেশন) জোট। কাশ্মীরে আঞ্চলিক দলগুলি এগিয়ে থাকলেও, জম্মুতে একাধিক আসনে এগিয়ে বিজেপি।

২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই ৫ অগাস্ট থেকে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫(এ) তুলে নেয় কেন্দ্র সরকার। তারপর থেকে এই প্রথমবার নির্বাচন হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। পিডিপি, ন্যশনাল কনফারেন্স এবং বাম দলগুলি সহ জম্মু-কাশ্মীরের ৭ টি প্রধান দল গুপকর জোটে সংঘবদ্ধ হয়েছে। এই মুহুর্তে ১০৮ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তাঁরা। বিজপি এগিয়ে রয়েছে ৬০ টি আসনে। ২২ টিন আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।

জম্মুতে ৫৭ টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ৩৭ টি আসনে এগিয়ে আসনে গুপকর জোট। অন্যদিকে কাশ্মীরে ৭১ টি আসনে এগিয়ে আঞ্চলিক দলগুলি। অনেক পিছিয়ে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরের ২০ টি রাজ্যের মোট ১৮০ টি আসনে চলছে ভোট গণনা। ব্যালট পেপারে ভোট গণনা হওয়ার কারণে গণনায় সমস্য লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ দিল্লির গাজিপুর সীমান্ত অবরুদ্ধ করে আন্দোলনে কৃষকরা

গত বছর অগাস্ট মাস থেকে দীর্ঘ সময় জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক নেতাদের আটক করে রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি সহ আরও অনেকে। তাই বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবারে একজোট হয়েছেন তাঁরা। গত বছর কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল যাবে, নাকি বিপক্ষকেই বেছে নেবে মানুষ? এটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ দু’পক্ষের জন্য। জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের মধ্যে দিয়েই আগামী দিনের রোডম্যাপ ঠিক করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালেই বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবী করেন জম্মু-কাশ্মীরে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। একাধিকবার জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে। তাকে উপেক্ষা করেই মানুষ এসেছে ভোট দিতে।

খুব কম সময়ের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ সময়ের নজরবন্দী থাকার পর ভোট প্রচারের প্রস্তুতিতে পিছিয়ে পড়েছিলেন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্ব। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই তাঁদের কাছে এবারের নির্বাচন বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাঁদের কাছে মূল লক্ষ্য জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫(এ) পুনরায় ফিরিয়ে আনা। তাই সমস্ত কেন্দ্রে নিজেদের পুরো শক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন তাঁরা।

নির্বাচনের প্রচারে দেখা যায়নি ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি এবং গুপকর জোটের প্রধান ফারুক আবদুল্লাহকে। কারণ জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক তছরুপ মামলায় ফারুক আবদুল্লাহকে ইডির কাছে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে প্রচারের জন্য কাহ্মতি রাখেনি বিজেপি। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এনে প্রচার চালিয়েছেন তাঁরা।

সম্পর্কিত পোস্ট