আন্দোলনে মৃত আরও এক কৃষক, চিঠিতে দায়ী করলেন মোদি সরকারকে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে দিল্লির সীমান্তে একমাসের ওপর সময় ধরে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলনে ৪০ জনের বেশী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এবার আন্দোলন অবস্থায় মারা গেলেন আরও একজন কৃষক।

মৃতের নাম কাশ্মীর সিং লাদি। বছর ৭৫ এর ওই ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তিনি। শৌচাগারের পাশ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর সিংয়ের মৃতদেহের পাশে একটি চিঠি মেলে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, আর কতদিন ঠান্ডার মধ্যে বসে থাকব? সরকার কবে কথা শুনবে?

আমার জীবন ত্যাগ করছি যাতে কোনও সমাধান আসে। ভারতীয় কিশান ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্র সরকার।
চলতি সপ্তাহে বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রের সঙ্গে ষষ্ঠ দফার বৈঠকে বসেন কৃষকরা।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/home-minister-amit-shah-will-rally-in-thakurnagar/

বিদ্যুৎ বিল এবং পরিবেশ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ নিয়ে উভয়পক্ষ সহমত হলেও, কৃষি আইন এবং ফসলের নুন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আলোচনায় কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি।

কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের প্রত্যাহারের দাবীতে অনড় থেকেছেন কৃষকরা। কিন্তু আইন প্রত্যাহারের পথে হাটতে নারাজ সরকারপক্ষ।

পাশাপাশি কৃষকদের তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, এমএসপি নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে সরকার। সরকারের তরফে আশ্বস্ত করা হচ্ছে এমএসপি ছিল এবং থাকবে।

কিন্তু কৃষকদের দাবী আইনি মান্যতা দিতে হবে এমএসপিকে। যেটা তাঁদের অধিকার বলে দাবী করছেন কৃষকরা।

উল্লেখ্য, এক মাসের বেশী সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। দিল্লির সীমান্তে একাধিক জায়গায় আন্দোলনে শামিল হয়েছেন দেশের কয়েকলক্ষ কৃষক।

কৃষকদের দাবী, যতক্ষণ অবধি কেন্দ্র সরকার তিন কৃষি আইন না প্রত্যাহার করে নেয় ততদিন এই আন্দোলন চলবে।

এমনকি আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর করতে রিলে অনশনে বসেন কৃষকরা। এর আগে একদিন সারা ভারত বনধের ডাক দেন কৃষকরা।

ছয় দফার বৈঠকের ৫০ শতাংশ সমস্যার সমাধান হলেও এখনও কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় সমাধানসূত্র বের করতে পারেনি কেন্দ্র সরকার।

৪ তারিখ ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে দিল্লিতে ট্র্যাক্টর র্যালির কথা ঘোষণা করলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট