জেলায় জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে করোনার টিকা, বন্টনের প্রস্তুতি তুঙ্গে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবসান ঘটলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার। কলতায় চলে এল কোভিডের টিকা কোভিশিল্ড। পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে রওনা হয়েছিল মঙ্গলবার ভোর ৫টারও আগে। একে একে ১৩টি শহরে পাড়ি দেওয়ার কথা। অবশেষে এ রাজ্যেও এসে পৌঁছল কোভিশিল্ড টিকা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার সাত লক্ষ ডোজ নিয়ে কলকাতা বিমান বন্দরে নামে স্পাইস জেট। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ। বিমানবন্দরে আগে থেকেই রাখা ছিল ইনসুলেটেড ভ্যান। সেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানে করেই বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে নিয়ে যাওয়া হয় টিকা।
সেখানে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। এই মেডিক্যাল স্টোর থেকে এর পর বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় সেগুলো। ১৬ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে সারা দেশে টিকাকরণ। প্রথমে টিকা পাবেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গে সেই সংখ্যাটাই সাত লক্ষ।
এরপর সামনের সারির করোনা যোদ্ধারা টিকা পাবেন। যেমন, পুলিশ, পুরকর্মী, সাফাই কর্মী, সেনা। এর পর পাবেন ষাটোর্ধ্ব এবং পঞ্চাশোর্ধ্বরা। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বা এসআইআই থেকে টিকা কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কেন্দ্র।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shuvendu-adhikari-is-addressing-a-meeting-in-arjun-nagar-bhagwanpur/
তারপর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছিল। বন্দোবস্ত করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার। সোমবার বিকাল থেকেই ট্রাক আসতে শুরু করে সেরামের কার্যালয়ে। আর মঙ্গলবার ভোরে দিনের আলো ফোটার আগেই পুণের মঞ্জরিতে সেরামের কার্যালয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়।
নারকেল ফাটান পুলিশের ডেপুটি কমিশনার নম্রতা পাটিল। তারপর সেরামের কর্মীদের তুমুল হাততালির মধ্যে ভোর ৪টে ৫৫ মিনিট নাগাদ কোভিশিল্ড বোঝাই তিনটি ট্রাক পুণে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিমানবন্দর পর্যন্ত নিরাপত্তা প্রদান করে পুলিশ। ভোর ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ থেকে বিমানবন্দরে শুরু হয় টিকা নামানোর কাজ। সেখানে মোতায়েন ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা।
এদিন আবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব দুপুর ৩টে থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সব জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা সঙ্গে বৈঠক করতে শুরু করেন এই টিকা নিয়ে। এদিন কলকাতায় যে বাক্সে করে টিকা এসে পৌঁছেছে সেই প্রতিটি বাক্সের ওজন ৩২ কেজি।
সে ট্রাকগুলি করে বিমানবন্দর থেকে সেন্ট্রাল স্টোরে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের ভেতরকার তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রি থেকে ২৫ ডিগ্রি পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কলকাতা এবং জেলা মিলিয়ে রাজ্যের ৯৪১টি কেন্দ্রে পাঠানো হবে এই ভ্যাকসিন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/deputy-election-commissioner-in-the-state-will-meet-administrative-officials-at-the-district-level/
বিমানবন্দর থেকে বাকি টিকা পাঠানো হয় হেস্টিংসে কেন্দ্রের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল স্টোর্স ডিপোতে। সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে টিকা পাঠানো হবে।বাগবাজার সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোর্সের ভিতরে দুটো রেফ্রিজারেটর রয়েছে। সেখানে ৫৯টি বাক্সে ভ্যাক্সিন থাকবে। এদিনই মুর্শিদাবাদ ও উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলায় ভ্যাক্সিন পৌঁছে যাবে। বণ্টন চলবে রাতভর।
বুধবার বাকি ১০টা জেলায় ভ্যাক্সিন বণ্টন হবে। নীল রঙের বিশেষ গোল বাক্সেই ভ্যাক্সিন পৌঁছে যাবে জেলাগুলিতে। রাজ্যে ২৩টি জেলা হলেও স্বাস্থ্য দফতরের মানচিত্রে চারটি বিশেষ স্বাস্থ্য জেলা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার, বিষ্ণুপুর, রামপুরহাট, নন্দীগ্রাম। এই সব জেলা ও স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকদের সঙ্গেই এখন বৈঠক করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব।