বাম-কংগ্রেসের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আব্বাস সিদ্দিকি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে একেবারে জোরকদমে তোরজোড় শুরু করেছে সমস্ত পক্ষই। তৃণমূল-বিজেপির আকশাআকশির মধ্যে তৃতীয় বিকল্প হিসাবে উঠে আসছে বাম-কংগ্রেসের নাম। গত কয়েক দফার বৈঠকের পর আসনরফা আশু সমাধান কোর্টে পেরেছেন দুই পক্ষ। কিন্তু এরই মধ্যে চতুর্মুখী লড়াইয়ের ডাক দিলেও এখনও জোট নিয়ে স্পষ্ট করতে পারেনি আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
রাজনৈতিক মহলে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল এবারের নির্বাচনে হয়তো বাম-কংগ্রেসের শরিক হিসাবে উঠে আসতে পারে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। যদিও সেই বিষয়ে কথা হলেও এখনও অবধি সিদ্ধান্ত কিছু নেওয়া হয়নি বলে দ্য কোয়ারিকে জানান আব্বাস সিদ্দিকি।
তিনি আরও বলেন, জোটের শরিক হিসাবে তাঁদেরকে রাখা হবে কিনা সেবিষয়ে দ্রুত জানিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এদিন তিনি বলেন, দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা হয়েছে। এখনও চুড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, আসনরফা নিয়ে দুই দফায় বৈঠকে বসেছেন বিমান বসু, সুর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী এবনং প্রদীপ ভট্টাচার্যরা। এখনও অবধি দুই পক্ষের মধ্যে ১৯৩ টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে ১০১ টি আসনে লড়াই করবে বামেরা। বাকি ৯২ টি আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ চুপচাপ দল বদলের তালিকায় নেই দেব, টুইটারে স্পষ্ট করলেন রাজনৈতিক অবস্থান
আসনরফা নিয়ে পরবর্তী বৈঠক রয়েছে ৭ তারিখ। যেখানে আলোচনা হবে বাকি আসনগুলি নিয়ে। সেদিনেই ঠিক হয়ে যাবে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট নিয়ে কি পরিকল্পনা রয়েছে বাম-কংগ্রেসের।
একুশের নির্বাচনে লড়াই যে আব্বাস সিদ্দিকি করছেন সেবিষয়ে স্পষ্ট করেছেন অনেক আগেই। এমনকি দল ঘোষণার আগে মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে আব্বাস সিদ্দিকিকে সামনে রেখে লড়াইয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েইসি।
সেইমতো রাজ্যের বেশকিছু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে জোর কদমে চলছে প্রচারের কাজ। অন্যদিকে দল ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক বিরাট জনসভা করে চলেছেন আব্বাস সিদ্দিকিও।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মুসলিম, আদিবাসী সহ সংখ্যালঘু ভোটের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে আব্বাসকে জোটের অংশ হিসাবে বেছে নিতে চাইছেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই কারণেই আব্বাস সিদ্দিকিকে ধর্ম নিরপেক্ষ বলে দাবী করেছিলেন সিপি(আই)এম এর রাজ্য সম্পাদক সুর্যকান্ত মিশ্র।
২১ এর নীলবাড়ি দখলে সমস্ত রাজনৈতিক দল ভোটের অঙ্ক কষতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট কি পদক্ষেপ নেয়? তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।