চিনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিঃ রাহুল গান্ধী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েকমাস ধরে চলতে থাকা লাদাখের উত্তেজনা কমিয়ে সেনা সরাচ্ছে দুই পক্ষ। এমনটাই জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার এবিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন, এতদিন ধরে ফিঙ্গার ফোরে ভারতীয় সেনা থাকত। সেখান থেকে কেন ফিঙ্গার থ্রিতে সরিয়ে আনা হচ্ছে সেনাকে? কেন চিনকে ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে দিচ্ছে মোদি সরকার? প্রশ্নও রাহুলের।
এদিন তিনি আরও বলেন, চিনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কাপুরুষ। সেনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিনি। এমনকি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ রাহুলের।
এখনও অবধি দেপসাং সমতল, গোগরা হটস্প্রিং থেকে এখনও কেন চিনা ফৌজকে সরানো যায়নি? প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। কারণ ওই এলাকা দিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, দেশের জমি চিনাদের হাতে তুলে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে জবাব দিতেই হবে।
আরও পড়ুনঃ করোনার টিকাকরণ শেষ হলেই CAA কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হবে- ঠাকুরনগরে প্রত্যয়ী শাহ
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সেনা সরানোর জন্য একমত হয়েছে ভারত এবং চিন। কিন্তু বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবী জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে ভারতের জমি চিনের কাছে ছেড়ে দিতে চাইছে কেন্দ্র। সেবিষয়েই শুক্রবার কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়াল বলেন, ২০২০ এর এপিল মাসের আগে লাদাখ সীমান্তে যে স্থিতাবস্থা ছিল তা ফিরবে কিনা সেবিষয়ে সুনিশ্চিত করে কিছুই বলেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কেন লাদাখ সীমান্তে চিনের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের দাবী করছে না কেন্দ্র? প্রশ্নও কংগ্রেস নেতার।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাস থেকে পুর্ব লাদাখে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। তারপর থেকেই ওই এলাকায় যুযুধান ছিল দুই পক্ষ। একাধিক বৈঠকের পরেও সেই উত্তেজনা কমেনি। আংশিক সেনা সরানোর কথা হলেও, সেনা সরানোর বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা চলবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই আলোচনা হতে পারে বাকি এলাকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে।