অন-ডিউটি পুলিশের উপর হামলা DYFI-র, মইদুল মিদ্যার মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে বাম ছাত্র যুব সংগঠন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মইদুল মিদ্যার ময়নাতদন্ত চলাকালীন মর্গের সামনে বিকেল ৪ টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন DYFI কর্মীরা। এলাকা অবরুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরী হলে পুলিশের তরফে রাস্তা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। DYFI কর্মীদের সঙ্গে অনডিউটি পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

উন্মত্ত বাম ছাত্র যুব সংগঠনের হাত থেকে বাঁচতে কাছাকাছি একটি রেস্তোরায় আশ্রয় নেয় পুলিশ। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তার উর্দি। যদিও DYFI এর তরফে জানানো হয় কোনোভাবেই উর্দি ছিঁড়ে দেওয়া হয়নি।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের জন্য মইদুল কলকাতায় এসেছিলেন অন্যান্যদের সঙ্গে। সামনের সারিতেই তাকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ একসময় আক্রমণ করে। বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল বাম কর্মী – সমর্থকদের উপর। সেই মারের আঘাতে রাস্তাতেই প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন মইদুল ইসলাম। তাকে পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন মইদুল ইসলাম। সিপিএম নেতা ফুঁয়াদ হালিমের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে। পুলিশের মারের থেকে এই ক্ষত হয়েছে। একথা জানিয়েছেন ফুঁয়াদ হামিল। শরীরের ভিতরে আঘাত যথেষ্ট ছিল। প্রোটিন বেরোতে থাকে। কিডনিতে আঘাত লাগে যথেষ্ট বেশি

ময়নাতদন্তের এলাকা কার্যত ঘিরে রেখেছেন বাম ছাত্র যুব সংগঠনের কর্মীরা। এলাকাতেও পুলিশ, র‍্যাফ রয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ নিজেরাই নিয়ে নিতে পারে। এই আশঙ্কা করছেন বাম নেতারা। তাই ময়নাতদন্তের পর দেহ পাওয়ার দাবিতে এলাকায় জড়ো হয়েছেন বামেরা। সেই মুহুর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

রবিবার থেকেই মইদুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। কিডনি কাজ করছিল না। শরীরের অন্য অংশে জল জমে যাচ্ছিল। তাকে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হল না। আজ সোমবার সকালে মারা গিয়েছেন মইদুল ইসলাম। হাসপাতাল থেকে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।

প্রশাসনের আক্রমণে এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। বাম ও কংগ্রেস নেতারা রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের তীব্র নিন্দা শুরু করেছেন। বড়সড় আন্দোলনের পথে তারা যাবেন। এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট