রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব নেই, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সে কথা জানাল নবান্ন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সংস্থান রয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নের বিবৃতিতে মূলত তার বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি শোনা গেল।
এদিন সন্ধ্যায় নবান্নের তরফ একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেই বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে অক্সিজেনের কোনো অভাব নেই নেই। কোথাও ঘাটতি নেই জোগানেরও। এদিন রাজ্য সরকারের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা রোগীর চিকিৎসায় অপরিহার্য অক্সিজেন।
এই কথা মাথায় রেখে, বিগত কয়েকমাসে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মহকুমা স্তর পর্যন্ত ১০৫ টি সরকারি করোনা হাসপাতালে পাইপলাইন দ্বারা অক্সিজেন সরবরাহ (MGPS) সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে মোট ১২৫০০ করোনা আক্রান্ত রোগীদের ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
নবান্ন আরও জানিয়েছে, আগামী ১৫ মে- এর মধ্যে নতুন ৪১ টি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন গ্যাস পাইপলাইন বসানো হবে। তাতে আরও ৩০০০ করোনা রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। অতএব রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, পরিকাঠামো সম্পন্ন হলে ১৫৫০০ করোনা রোগীকে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন পরিষেবা দেয়া সম্ভব হবে। এর থেকে এটা পরিস্কার রাজ্যে অক্সিজেনের কোনও অভাব নেই।
আরও পড়ুনঃ বীরভূমে ভোটের আগে কমিশনের নজরবন্দী অনুব্রত মণ্ডল
এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আরো ৫৫ টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে। সোমবারই নবান্নের বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল, রাজ্য সরকারের তরফে নতুন অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রাজ্য নব্বইটি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করতে চেয়েছিল। ক্ষেত্রে ৫৫ টি অক্সিজেন প্লান্টের ছাড়পত্র কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
এছাড়াও এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অতীতে রাজ্য জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল/মহকুমা হাসপাতালের ক্ষেত্রে অক্সিজেন পেতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি পালন করতে হতো। তবে সেই নিয়ম নীতি অনেকটাই শিথিল করল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের তরফে এ দিন বলা হয়েছে, সমস্ত সরকারি মেডিকেল কলেজ, রাজ্য জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল/মহকুমা হাসপাতালের মুখ্য আধিকারিকরা এবার নিজেরাই সি এম এস অনুমোদিত হারে অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারবেন, অবশ্যই অর্থ দফতরের নির্দেশিকা তাদের মানতে হবে।
এক্ষেত্রে এলাকা ভিত্তিক অক্সিজেন সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হল। এখন যেকোন হাসপাতাল তাদের ইচ্ছামত পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের সম্প্রসারণ করতে পারবে।